খুশি বা আনন্দে থাকা কোনও গন্তব্য নয়, এটি একটি রাস্তা। যে পথ ধরে চলতে থাকার সময় প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করাই হল আনন্দ! ফরাসী কবি ভিক্টর হুগো বলেছিলেন, ' জীবনে সবচেয়ে বড় আনন্দ বলতে বোঝায় সেই অনুভূতি, যেখানে বোঝা যায় আমাদের কেউ ভালোবাসছে। আমাদের জন্য আমাদের ভালবাসছে, আমাদের চেনা সত্ত্বেও ভালবাসছে।' একজন মানুষের সমস্ত দোষ বা গুণ জেনেও তাঁকে বহু পাপের জন্য ক্ষমা করেও ভালবাসার মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে আনন্দ। এতে আনন্দ যেমন দেওয়া যায়, তেমনই আনন্দ করাও যায়। অনেকেই সাফল্যের কোনও একটি গন্তব্যকে আনন্দ হিসাবে চিহ্নিত করেন। তবে সেই রাস্তা ভুল। খুশি থাকতে সঠিক রাস্তার খোঁজ দিচ্ছেন এই বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসক বিকাশ খান্না বলছেন, আমাদের আনন্দে থাকার মাঝখানে খুব বড় দেওয়াল হল আশা। এছাড়াও চিকিৎসক অঞ্জলি মিশ্র কয়েকটি টিপস দিচ্ছেন সুখী থাকার। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই টিপস।
সার্বিকভাবে ভাল থাকা জরুরি:
সুস্থতা হল সম্পূর্ণ শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতার একটি অবস্থা এবং শুধুমাত্র রোগ বা দুর্বলতার অনুপস্থিতি নয়। ভাল থাকতে হলে মানসিক, শারীরিক, আবেগতাড়িত সমস্ত দিক থেকেই ভাল থাকা দরকার। সার্বিক ভাল থাকাটাই মনের আনন্দের পক্ষে জরুরি।
এনার্জি ম্যানেজমেন্ট: আপনার কোন জিনিসে সবচেয়ে বেশি এনার্জি ক্ষয় হয়, আর সবচেয়ে কম এনার্জি লাগে, তা আপনার থেকে বেশি ভাল কেউ জানবেন না। ফলে নিজে যে জিনিসে আনন্দ পাচ্ছেন, যেখানে এনার্জি কম খরচ করে বেশি ফুরফুরে থাকছেন, সেদিকেই ঝুঁকে থাকুন।
খাওয়া দাওয়া
মনের আনন্দে খাওয়া দাওয়া করলে তাতেই মেলে কাঙ্খিত শান্তি। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার প্রতিদিনের খাবারে যাতে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার থাকে। সবুজ শাকসবজির সঙ্গে প্রোটিন, সামুদ্রিক মাছ , কম ফ্যাটের দুধজাত খাদ্য সমস্তই রাখতে হবে ডায়েটে।
৮ থেকে ১২ গ্লাস জল
জল খাওয়া সার্বিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন যদি ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ব্যায়াম করা যায়, তাহলে ঝরবে বাড়তি মেদ। এছাড়াও প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফ্রোজেন খাবারের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন
কথায় বলে, যত বেশি হাতে আসে, তত বেশি তার প্রতি অবজ্ঞা জন্মায়। ফলে আরও বেশি পাওয়ার চাহিদায় জন্মে যায় লোভ। আর লোভ থেকেই যাবতীয় অশান্তির সূত্রপাত। সুস্থ থাকতে ধূমপান বা মদ্যপানের নেশা ছেড়ে গান বাজনার নেশা ধরে ফেললে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে, বলছেন বহু বিশেষজ্ঞরা।