বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > How to deal with Stress: স্ট্রেসের জেরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি! অগস্টে বিপদ মুক্তি পাবেন কীভাবে?

How to deal with Stress: স্ট্রেসের জেরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি! অগস্টে বিপদ মুক্তি পাবেন কীভাবে?

How to deal with Stress: (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay)

How to deal with Stress: দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্রেসে থাকলে ভাস্কুলার প্রদাহ, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়৷ এছাড়া স্ট্রেস শরীরের এমন সব কাজে বাধা তৈরি করে, যা হয়ত জীবন-মরণ সমস্যা তৈরি করে না, যেমন হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিংবা যৌন আকাঙ্খা৷

আমরা যখন একই সময়ে অনেক কাজ করার চেষ্টা করি, তখন চাপ অনুভব করি৷ অল্প সময়ের জন্য চাপে থাকা কোনও সমস্যা নয়৷ কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্রেসে থাকলে ভাস্কুলার প্রদাহ, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়৷

এছাড়া স্ট্রেস শরীরের এমন সব কাজে বাধা তৈরি করে, যা হয়ত জীবন-মরণ সমস্যা তৈরি করে না, যেমন হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিংবা যৌন আকাঙ্খা৷

সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. ইয়ান কালবিৎসার জানান, দীর্ঘদিন স্ট্রেসে থাকলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার মতো অনুভূতি তৈরি হতে পারে, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর একটি বিষয়৷ এছাড়া অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার-সহ বার্ন আউট পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷

চাপ পরিস্থিতিতে সঠিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারলে চাপের মাত্রা কমানো যায়৷ যেমন: শ্বাস নিন! কমপক্ষে তিনবার ভিতরে, তিনবার বাইরে৷ এই কথা হয়ত আপনি আগেও শুনেছেন৷ কিন্তু শুনতে সাধারণ মনে হলেও এটি খুব কার্যকর৷ কার্ডিওলজিস্ট ডা. মেলানি হ্যুমেলগেন বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই যে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া ও শ্বাস ছাড়া রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দনের উপর প্রভাব ফেলে৷ এক, দুই বা তিনবার গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার পরই সেটা দেখা যায়৷'

স্ট্রেস থেকে একেবারে মুক্তি পেতে চাইলে রিল্যাক্স করার কিছু উপায় শেখা যেতে পারে৷ যেমন ‘প্রোগ্রেসিভ মাসল রিলাক্সেসন'৷ বিভিন্ন পেশিকে একসঙ্গে বেঁধে তারপর শিথিল করা৷ এভাবে আমরা বুঝতে পারি, কতটা স্ট্রেসে আছি৷ এবং এভাবে শরীরের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া যায়৷

রিলাক্সেসন প্রশিক্ষক আনিয়া টিসব্যুর্গার বলেন, ‘শরীরের প্রতিটি পেশি আসলে আপনাকে বলে দেয়, কখন তার ভালো অনুভূতি হচ্ছে না৷ আপনার যদি ব্যথা থাকে, আপনি যদি বাঁকা হয়ে বসেন, যদি কাঁধ ঝাঁকান বা দাঁত চেপে থাকেন, তাহলে আপনার সংকেত পাওয়ার কথা৷ কিন্তু যখন আমরা খুব চাপ কিংবা চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকি, তখন ক্রমাগত এই সংকেতগুলি উপেক্ষা করি৷ কারণ হয়ত আমাদের সময় নেই, অর্থাৎ আমরা এতই ব্যস্ত থাকি যে, আমরা এসব অভ্যন্তরীণ সংকেত উপেক্ষা করি৷''

দ্রুত করা যায় এমন একটি ব্যায়াম: মুষ্টি আঁকড়ে ধরুন কিংবা পা টেনে ধরুন৷ তারপর ছেড়ে দিন!

একাংশের দাবি, চিনারা এক হাজারেরও বেশি বছর আগে পেশি নমনীয় করার ব্যয়াম এবং মেডিটেশন শুরু করেছিল৷ একে তারা ‘চি গং' বলত৷ ওষুধশাস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল এটি৷ এর মূল নীতি ছিল, শরীর নড়াচড়ার মাধ্যমে মনের ভিতরের অবস্থা প্রকাশ করা৷

চি গং-এর সময় নড়াচড়া করার কারণে সঞ্চালন উদ্দীপিত হয়, হৃৎপিণ্ড ও পেশি আরও ভালোভাবে কাজ করে এবং সুখী হরমোন ডোপামিন নিঃসৃত হয়৷ এটা চাপের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে৷ তাছাড়া চি গং অনেকটা মেডিটেশনের মতো৷

যাঁরা নিয়মিত মেডিটেশন করেন, তাঁদের মস্তিস্কে এমআরআই করে দেখা গিয়েছে, মস্তিস্কের যে অংশে স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি কাজ করে সেই অ্যামিগডালায় কার্যক্রম কম চলছে৷ একই সময়ে যেখানে আত্মসচেতনতা ও সহানুভূতি কাজ করে মস্তিস্কের সেই হিপ্পোক্যাম্পাস অংশ বেশি সক্রিয় আছে৷ রিলাক্সেশন টেকনিক আর মেডিটেশন স্ট্রেস কমানোয় কার্যকর হতে পারে৷

(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)

বন্ধ করুন