রথের মেলায় খোঁজ করলে এখন আর তাল পাতার সেপাই কিম্বা ভেঁপু কিনতে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ! তবে রথের মেলায় ছোট আকারের রথ যে পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত। আর বাড়ির ছোট্ট সদস্যের হাত ধরে যখন তার দাদু রথের মেলায় যান, তখন বায়নাক্কা তো উঠবেই রথ কেনার জন্য! আগত্যা মেলা থেকে ইয়াব্বড় রথ বাড়ি এনে তবেই খান্ত হয় বাড়ির সবচেয়ে আদুরে ছোট্ট সদস্যটি!
তবে বাড়ির বড়রা পড়ে যান চিন্তায়! রথ তো বাড়ি এল মেলার সকালে স্টল খুলতেই। তবে এবার এই বাড়ি আসা রথকে সমাদরে সাজিয়ে তাতে জগন্নাথদেব, শুভদ্রাদেবী আর বলভদ্রকে কীভাবে সাজানো হবে? ঝটপট বিকেলের মধ্যে রথ সাজিয়ে তার রশিতে টান দিলে তবেই না রথ উৎসব উদযাপন! ফলে বাড়িতে 'বিবিধ' জিনিসপত্র নিয়ে সকলের 'মিলনে' শুরু হয়ে যায় রথ সাজানোর পালা। তবে প্রথমে কিছুতেই মাথায় আসে না কীভাবে এই রথকে সাজানো যায়। দেখে নিন তার কিছু টিপস। মা দুর্গার আগমন ও গমন এই বছর কীসে? জানুন এর শুভ, অশুভ ফলাফল
- বাড়িতে যদি পুরনো কার্ড বা রঙিন কাগজ থাকে, তাহলে ঝটপট তা রথের ধাপগুলির চারদিকে 'রেলিং' এর মতো করে কেটে বসিয়ে নিন।
-কার্ডে কোনও সুন্দর ধাতব অংশ থাকলে তা রঙিন কাগজ ত্রিকোণ করে কেটে তাতে বসিয়ে নিন। সঙ্গে একটি স্টিক বা দেশলাই কাঠি জুড়ে তাকে 'ধ্বজা'র রূপ দিয়ে রথের মাথায় রাখুন।
-এরপর বাড়িতে গাছপালা থাকলে বিভিন্ন পাতা তুলে নিন। সঙ্গে নিন কিছু ফুল। পাতার বিভিন্ন আদলকে ব্যবহার করে নানান ধরনের সাজ সজ্জায় রথের বাইরের দিকটি সাজিয়ে নিন।
-এরপর ফুলের সমাহারের মাঝে বসিয়ে দিন শ্রীজগন্নাথদেব, বলভদ্র দেব ও শুভদ্রাদেবীর মূর্তি।
- সারা দুপুর, বিকেলে এই কাজ সেরে রাখলে সন্ধ্যায় রথ একেবারে তৈরি। বাড়ির ছোট্ট সদস্যটি তখন ঘুম থেকে উঠে এমন রথ দেখলেই খুশি! ফলে মনের ফুর্তিতে সে সন্ধেয়ে টেনে নিয়ে যেতে পারবে তার বাড়ির রথ।