যোগভ্যাস বিভিন্ন রোগ সারানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী উপায় বলে দাবি বহু বিশেষজ্ঞের। অনেকেই ওজন কমানো থেকে শুরু করে শারীরিক বিভিন্ন গণ্ডগোলের জন্য এই যোগভ্যাস করে থাকেন। তবে যে সঠিক উপায়ে যোগভ্যাস করা উচিত, তার মধ্যে অন্যতম হল মনসংযোগ। অনেক সময়ই যোগভ্যাসের সময় মন বিভিন্ন দিকে চলাচল করে। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রয়েছে কিছু টিপস। যোগমাস্টার অক্ষর কিছু টিপস শেয়ার করেছেন সদ্য।
সঠিক পরিবেশ
সঠিক পরিবেশে যদি যোগভ্যাস না করে থাকেন, তাহলে কিছুতেই মিটবে না মনসংযোগের সমস্যা। অসমান জমিতে যদি বসে যোগা করেন, তাহলে হতে পারে মনসংযোগের অভাব। যেখানে অত্যন্ত শান্ত মনে যোগ করতে পারেন এমন জায়গা বেছে নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে শব্দ, কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে যোগভ্যাস করলে মিলতে পারে ফল।
পর পর চিন্তা কি আসতেই থাকছে?
অনেক সময় এমন পরিস্থিতি হয়, যখন যোগভ্যাস করতে বসেও পর পর চিন্তা মাথায় আসতে থাকে। কিছুতেই সেই চিন্তা থেকে মুক্তি মেলে না। সেই সময়ই ব্যহত হয় যোগভ্যাস। ফলে যোগভ্যাসে বসার আগে ভাবতে হবে, আপনার চিন্তাধারা কতটা সহায়ক হতে পারে যোগভ্যাসের ক্ষেত্রে। কোন চিন্তা রাখলে যোগভ্যাসে মনোনিবেশ করতে সুবিধা হবে, সেটা ভেবে নিয়ে বসতে হবে।
সফর
যোগভ্যাসের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগভ্যাসের পাশাপাশি বেড়ানোকে সঙ্গী করে নিতে হবে। খুব বেড়াতে যাওয়া বা সফর করলে যোগভ্যাসে অনেকটাই মনঃসংযোগ বাড়তে পারে। ভাবনা চিন্তার গতিবিধিও অনেকটাই বিস্তৃত হতে পারে।
মনকে নিয়ন্ত্রণ
মনই মানুষের জীবনের বড় শত্রু হয়ে উঠতে পারে, যদি তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়। ফলে মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে, ভাল বই পড়ার অভ্যাস বা কোনও মনসংযোগ বাড়ানোর মতো খেলার মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখা ভাল। যোগভ্যাসে মন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যোগভ্যাস ও টিপস
যোগভ্যাসের জন্য মাইন্ড ম্যাপিং বা মাইন্ড কন্ট্রোল খুবই জরুরি। এজন্য অনেকেই নিউরোন ট্রেনিং বা নিউরোপ্লাস্টিসিটির ট্রেনিং নিয়ে থাকেন। যোগভ্যাস রপ্ত করতে পারলে, নিজের ভাবনাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে।