পুজোর আগে সকলেই চায় নিজেকে আরও সুন্দর, আকর্ষণীয় করে তুলতে। তাই তো ত্বকের পরিচর্যা, রূপচর্চা, শরীরচর্চা লেগেই থাকে। কিন্তু একই সঙ্গে চুলেরও যত্ন নেওয়া উচিত। বর্তমান সময়ের অতিরিক্ত দূষণের কারণে চুলের দফারফা হচ্ছে। অতিরিক্ত চুল পড়ছে, সঙ্গে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে। ব্যস্ততার কারণে সেভাবেই অনেকেই চুলের যত্ন নিতেন পারেন না। রোজ মাথায় না দেওয়া হয় তেল, না করা হয় শ্যাম্পু। এক্ষেত্রে কী করে সমস্যা থেকে মুক্ত পাবেন ভাবছেন? কিংবা পুজোর আগে চুল পড়ার সমস্যা কী করে দূর করবেন ভাবছেন? দেখে নিন।
কোনও বাজারি প্রোডাক্ট না ব্যবহার করে, স্রেফ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই চুলের যত্ন নেওয়া যায়। আর চুলের জন্য জবাফুল ভীষণই উপকারী। এটা কেবল চলতি কথা নয়, জার্নাল অব এথনোফার্মাকোলজির একটি গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে যে জবাফুল আমাদের চুলের ফলিকলগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে।
জবাফুলে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং বি। এছাড়াও এতে আছে বায়োঅ্যাক্টিভ কম্পাউন্ড যা চুল বাড়তে সাহায্য করে এবং চুলকে পুষ্টি জোগায়। অন্যদিকে এই ফুলে থাকা আলফা হাইড্রক্সিল অ্যাসিডও চুল বাড়তে সাহায্য করে। তাই চুলের জন্য যে কোনও বাজারি প্রোডাক্টেই লেখা থাকে জবা ফুলের কথা।
চুল ভালো রাখতে হলে লাল জবাফুল সব থেকে ভালো। চুল ভালো রাখতে কী করবেন দেখে নিন:
১.লাল জবা, মেথি, নারকেল তেল এবং কারি পাতা একসঙ্গে ফুটিয়ে ব্যবহার করুন। এতে চুলের গোড়া ভীষণ মজবুত হয়।
২. অথবা লাল জবা গুঁড়ো করে নিন, সেই গুঁড়োর সঙ্গে টকদই, লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগান। উপকার পাবেন।
৩. জবা ফুলের রস এবং নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। ৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
৪. জবা ফুলের রস, জবাফুল গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়েও চুলে লাগাতে পারেন, এটাও আমাদের চুলকে শক্তি জোগায়।
৫. নারকেল তেল, জবাফুল, অ্যালোভেরা একসঙ্গে ফুটিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। কেরাটিন ট্রিটমেন্টের তুলনায় ভালো উপকার পাবেন এতে।