বাঙালির হেঁসেল মানেই মশলাপাতি তো থাকবেই। নানা রকমের মশলার সম্ভারে বাঙালির রান্না হয়। বাঙালি রান্নাঘরে তেমনই একটি মশলা জিরে। রান্নাতে যেমন এর গুরুত্ব রয়েছে, তেমনই গরমকালে শরবতে জিরে 'গুঁড়ো' হয়ে গিয়ে পড়ে, জলজিরে-তে দারুন স্বাদ, গন্ধ এনে দেয়। তবে বাজারে বিভিন্ন সময়ই ভেজাল জিরের চক্রের সন্ধান মেলে। এই ভেজাল জিরের মাঝে আসল জিরে কীভাবে চিনবেন? রইল খুব সহজ ৫ টি পদ্ধতি।
দেখতে কেমন ও সাইজ
যে জিরেগুলি আসল, সেই জিরে একেবারে আলাদা রকমের হবে। আসল জিরে ছোটও হতে পারে কিম্বা লম্বাও হতে পারে, তবে একসঙ্গে সব কয়টি জিরে সমান আকারের হবে। কয়েকটি জিরে হাতে নিয়ে যদি দেখেন তার আকার আর সাইজ বিভিন্ন রকমের তাহলে সন্দেহ করতেই পারেন! তবে সতর্ক থাকতে হবে আরও একটি জিনিস নিয়ে। যদি জিরে খুব উজ্জ্বল বা চকচকে ধরনের মনে হয়, তাহলে সতর্ক হতে হবে। তা না কেনাই ভালো।
গন্ধ
আসল জিরের গন্ধ খুবই তীক্ষ্ণ। কয়েকটি জিরে নিয়ে আঙুলের মধ্যে রেখে তা ঘষে নিন। তারপর গন্ধ দেখে নিন। আসল জিরের গন্ধ একটু তীব্র হয়। সঙ্গে সামান্য সোঁদা গন্ধের ভাব থাকে, আর মশলার যেমন চেনা সুগদ্ধ থাকে, সেগুলি থাকে। এই সব ধরনের গন্ধ মিলিয়ে জিরের গন্ধ হয়।
স্বাদ
সামান্য কয়েকটি জিরে মুখে নিয়ে দেখতে পারেন। যদি স্বাদ অত্যধিক তিক্ত, তীক্ষ্ণ, বা বৈশিষ্ট্যযুক্ত জিরা গন্ধের অভাব হয় তবে এটি নকল জিরার লক্ষণ হতে পারে। ফলে সেই ধরনের জিরা কেনা থেকে বিরত থাকুন।
জলের পরীক্ষা
বাজার থেকে কেনা জিরে একটি গ্লাসের জলের মধ্যে রাখুন। তাকে কিছুক্ষণের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে যদি জল ঘোলাটে হয়, আর জল জিরের রঙ ধারণ করে, তাহলে সেই জিরে নকল। আসল জিরে জলের মধ্যে গুলে যেতে অনেক বেশি সময় নেবে। এক গ্লাস জলে জিরে পড়লে তা নিচে থিতিয়ে যেতে পারে, তাহলে সেই জিরে নিয়ে সতর্ক থাকার কথা নয়। ফলে সতর্ক থাকতে হবে।
প্যাকেজির আর লেবেলিং দেখে নিন:
যে জিরের প্যাকেট কিনছেন, তার প্যাকেজিং আর লেবেলিং দেখে নিন। সামান্য সন্দেহ হলেই তা নিয়ে দোকানে জিজ্ঞাসা করুন। প্যাকেটে প্যাকেজিং আর তৈরির তারিখ দেখে নিয়ে তবে তা কিনুন। অনেক সময়ই ভেজাল জিরে চক্র, এক ধরনের ঘাস দিয়ে ভেজাল জিরে তৈরি করে। সেই ঘাস গুড় জলের মধ্যে দিয়ে সেদ্ধ করে জিরের আকার দেওয়া হয়।