ঘাড়ে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, একাধিক ব্যথায় কাবু থাকেন অনেকে। কেউ কেউ তো আবার বলেন, ‘স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় কাবু’! সত্যি শরীরের কোনও অঙ্গে যদি সারাক্ষণ একটা চোরা বা প্রচণ্ড ব্যথা হতে থাকে তা একটা অস্বস্তির কারণ তো বটেই। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেন সঠিক সময় স্পন্ডিলাইটিস ধরা পড়লে আর সঠিক চিকিৎসা হলে এই রোগ সেরে যায় সম্পূর্ণ ভাবে। কিন্তু অনেক সময় তো এটার আসল লক্ষণগুলো চিনতে পারে না সাধারণ মানুষ। তাই এটা ক্রমে বাড়তে বাড়তে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তাই এখন যদি সামান্য কিছু হয় দেখে নিন কী করে বুঝবেন সেটা স্পন্ডিলাইটিস নাকি অন্য কিছু!
স্পন্ডিলাইটিসের লক্ষণ কী কী?
• স্পন্ডিলাইটিস হওয়া মানেই তার প্রথম থাবা কোমরে পড়বে। কোমরের চারপাশের জায়গা শক্ত হয়ে উঠবে এবং সঙ্গে ব্যথা হবে। মূলত সকালের দিকেই এই ব্যথা অনুভূত হবে। সঙ্গে থাকবে মাথা ব্যথা, গা বমি ভাবে। ঘাড়ের যন্ত্রণাও হতে পারে।
• এছাড়া স্পন্ডিলাইটিসের আরেক লক্ষণ হল শিরদাঁড়া এবং তার আশপাশের অঞ্চলে ব্যথা হওয়া।
• পিঠের নিচের দিকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটাকে একটাকা কাজ করছেন বলে ব্যথা হচ্ছে ভেবে ভুল করবেন না।
• শিরদাঁড়ার লিগামেন্টে টান অনুভব করতে পারেন।
• ঘাড়েও ব্যথা হতে পারে।
• চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। চোখ ব্যথা করে।
কেন হয় এই রোগ?
এই রোগ জিনগত কারণে হতে পারে, অর্থাৎ বাড়ির কারও থেকে থাকলে তার থেকে এই রোগ হতে পারে। অথবা শারীরিক কারণে। পুরুষরা বেশি এক রোগে আক্রান্ত হন। যদি বোঝেন যে আপনার স্পন্ডিলাইটিস হয়েছে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করুন।
স্পন্ডিলাইটিস কিন্তু মাথা ঘোরা, বমি ভাবের সঙ্গে হৃদরোগের সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। তাই স্পন্ডিলাইটিস হয়েছে মনে করলেই, লক্ষণ চিনতে পারলে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।