সৌভাগ্যের প্রতীক সিঁদুর, বিবাহিত মহিলারা সিঁথিতে এটি পরে থাকেন। বিশেষ করে পুজোর সময় বেশির ভাগ বিবাহিত নারী শাড়ি-সিঁদুরে সেজে উঠতে চান একেবারে ট্রেডিশানাল সাজে। কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়া সিঁদুরে নানা ধরণের রাসানিক পদার্থ এবং রং থাকে। আর তা থেকেই কখনও কখনও ত্বকে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। অ্যালার্জি দেখা দেয়। এইসব থেকে এবার অনেকের চুল পড়ার সমস্যাও শুরু হয়।
এক্ষেত্রে অনেকেই ভেষজ সিঁদুর বেছে নেন। কিন্তু সেগুলোর দাম আবার অনেকের সাধ্যের মধ্যে থাকে না। তবে এবার আর চিন্তার কিছু নেই পুজোর কটা দিন আপনি চাইলে বাড়িতেই ভেষজ সিঁদুর তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু পুজো কেন সারা বছরই বাড়িতে এই সিঁদুর তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি বানানোও খুব সহজ। কতকগুলি সহজ ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যে এটি খুব সহজেই তৈরি করা যায়। এটি রাসায়নিক মুক্ত এবং এতে ব্যবহৃত জিনিসগুলি ত্বকে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টিও করে না।
দেখে নিন কীভাবে হলুদ ব্যবহার করে বাড়িতেই সহজে এই লাল সিঁদুর তৈরি করে নিতে পারবেন
উপকরণ: চার চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ খাবার সোডা, আধা চা চামচ লেবুর রস, দুই ফোঁটা গোলাপ জল, এক ফোঁটা জল।
আরও পড়ুন: জলের ফোঁটা ফুটিয়ে তুলছে পুজোর আমেজ! প্রকৃতির গভীর ভাবনা শহরের এই পুজোয়
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথম পদ্ধতি: প্রথমে একটি ছোট বাটি নিন। তাতে চার চামচ হলুদ দিন। এবার একটি চামচের সাহায্যে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে আধা চামচ লেবুর রস দিন এবং এর রং লাল না হওয়া পর্যন্ত মেশাতে থাকুন।
আরও পড়ুন: পুজোয় এবার বানিয়ে ফেলুন পেঁয়াজ পায়েস! ঠাকুরবাড়ির বিখ্যাত পরমান্ন
কিছুক্ষণ পর এই মিশ্রণটি রং বদলাতে শুরু করবে। এবার সিঁদুরের বাক্সে সাবধানে রাখুন। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে গুঁড়ো সিঁদুর। যদি আপনি লিকুইড সিঁদুর পছন্দ করেন তাহলে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল যোগ করুন। আপনি এটিতে এক ফোঁটা জলও যোগ করতে পারেন। এভাবে ঘরেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার ভেষজ লাল গোলা বা লিকুইড সিঁদুর।
দ্বিতীয় পদ্ধতি: একটি পাত্রে এক চামচ হলুদ, আধা চামচ চুন, এক চামচ শুকনো গোলাপের পাপড়ির গুঁড়া মিশিয়ে নিন। গোলাপ যোগ করলে দেখবেন এর রং লাল হয়ে যাচ্ছে। রোদে রেখে শুকিয়ে নিন। আর লিকুইড সিঁদুর পছন্দ করলে এর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।