রমজান শুধুমাত্র উপবাসের মাস নয়, এটি আত্মনিয়ন্ত্রণ, সহানুভূতি ও মানুষের কল্যাণের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার এক বিশেষ সময়। এই সময়ে ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তবে ইফতারকে শুধু খাদ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে, এটিকে পরিবেশবান্ধব করার উদ্যোগ নেওয়া আজকের দিনে প্রয়োজন। ২০২৫ সালের রমজানে কীভাবে ইফতারকে আরও ইকো-ফ্রেন্ডলি করা সম্ভব জেনে নিন।
পরিবেশবান্ধব ইফতার কী?
পরিবেশবান্ধব ইফতার একটি ইতিবাচক পরিকল্পনা যার মধ্যে দিয়ে খাদ্য অপচয় কমানো যায়। পুনর্ব্যবহারযোগ্য বা কম দূষণকারী উপকরণ ব্যবহার করা হয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়। এটি মূলত এমন এক উদ্যোগ যেখানে ইফতারের মাধ্যমে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনা হয়।
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশের উপর মানুষের নেতিবাচক প্রভাব ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। খাদ্য অপচয়, অতিরিক্ত প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই খাবারের অপচয় না করাই ভালো। রমজানের মতো পবিত্র সময়ে আমাদের উচিত পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা।
- স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মরশুমের ফলমূল ও শাকসবজি কিনে খেলে কার্বন ফুট প্রিন্ট অনেকটাই কমে।
- খাবারের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ধারণ করুন এবং অবশিষ্ট খাবার সংরক্ষণ করে পুনরায় খেতে পারেন। এতে খাবার অপচয় হবে না।
- খোলা আকাশের নীচে ইফতার করা ভালো তবে প্লাস্টিকের বদলে মাটি, ধাতু বা কাচের পাত্র ব্যবহার করুন।
- রান্নার সময় অপ্রয়োজনীয় গ্যাস বা বিদ্যুৎ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
- জলের অপচয় রোধে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
- ইফতারের পর যে ফলের খোসা বা শাকসবজির উচ্ছিষ্ট থাকে, তা দিয়ে কম্পোস্ট তৈরি করুন। এটি মাটির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং আবর্জনা কমাবে।
- এ কদিন আমিষের বদলে নিরামিষ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীরও সুস্থ থাকবে।
- খাবার যদি বাড়তি হয়ে যায় তাহলে সেই খাবার অভাবীদের মধ্যে বিলিয়ে দিন। এতে অপচয়ও কমবে এবং রমজানও অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে।
পরিবেশবান্ধব ইফতার শুধু পরিবেশ রক্ষাই করে না, বরং এটি স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর জীবনযাপনের পথকেও সুগম করে। প্রতিদিনের ছোট ছোট পরিবর্তনই বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। তাই পরিবেশের প্রতি যত্নবান হয়ে ইফতারকে আরও আনন্দময় করে তুলুন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।