বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Prostate cancer prevention: প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতে চান? কীভাবে যত্ন নেবেন শরীরের

Prostate cancer prevention: প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতে চান? কীভাবে যত্ন নেবেন শরীরের

প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবেন কী করে? (ফাইল ছবি)

পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যানসারের সংখ্যা বাড়ছে। কীভাবে এই গ্রন্থির যত্ন নেবেন?

পুরুষদের মধ্যে ব্যাপক হারে বাড়ছে প্রস্টেট ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। পুরুষদের মধ্যে যত ধরনের ক্যানসারের সংক্রমণ হয়, তার মধ্যে সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে এই ক্যানসার। অতিলম্বে সাবধান না হলে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা।

সাধারণত ৪০ বছরের নীচে খুব বেশি পুরুষ এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন না। কিন্তু ৪০-এর পর থেকেই একটু একটু করে আশঙ্কা বাড়তে থাকে। ৫০ পেরোলে সেই আশঙ্কা অনেকখানি বেড়ে যায়।

প্রাথমিক অবস্থায় কোনও জ্বালা বা সমস্যা না থাকলেও ক্রমশ বাড়তে থাকে এই ক্যানসারের সমস্যা। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত, খিদে কমে যাওয়া, ওজন কমতে থাকা— এর প্রাথমিক লক্ষণ। 

প্রস্টেট গ্রন্থির যত্ন নিল এই রোগের আশঙ্কা কিছুটা কমতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের। কীভাবে প্রস্টেট গ্রন্থির যত্ন নেবেন? রইল কয়েকটি পরামর্শ।

  • চা পান: চায়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। বিশেষ করে গ্রিন টি। এই চা নিয়মিত খেলে প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমে। এমনই বলছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও চায়ের সঙ্গে জবাফুলের পাপড়ি মিশিয়ে খেতে পারেন। বাক্সবন্দি হিবিসকাস টি’ও কিনতে পাওয়া যায়। এটিতেও প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলি নিয়মিত খেলে প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমে।
  • নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ: অনেক পরীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, প্রচুর শরীরচর্চা বা এক্সারসাইজ করলে এই ক্যানসারের আশঙ্কা কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে প্রস্টেট গ্রন্থির নানা ধরনের সংক্রমণের হারই অনেকটা কমে যায়। ফলে এটি প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
  • মানসিক চাপ কমানো: চিকিৎসকরা বলছেন, অনেক পুরুষই মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে নিজেদের অজান্তে পেলভিক পেশিতে চাপ দেন। এটি প্রস্টেট গ্রন্থির উপর চাপ ফেলে। প্রাথমিক অবস্থায় এই সমস্যা প্রস্টেটাইটিস নামক সমস্যার সৃষ্টি করে। কিন্তু পরবর্তী কালে সেটিই প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ— মানসিক চাপ কমান, তাতে কমবে এই ক্যানসারের আশঙ্কা।

নির্দিষ্ট নিয়মগুলো তো মেনে চলতেই হবে। কিন্তু তার পরেও এই ক্যানসারকে পুরোপুরি আটকানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম সমস্যা দেখলেই চিকিৎসকেরর পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে খিদে কমে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়ার সঙ্গে মূত্রে রক্তপাত হলেই চিকিৎসককে জানাতে হবে। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এই ক্যানসার সেরে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকখানি

বন্ধ করুন