নির্দিষ্ট কিছু খাবারেই আমরা চিজ ব্যবহার করে থাকি, যেমন- পিৎজা, পাস্তা, বার্গার বা গ্রিলড স্যান্ডউই ইত্যাদি। অনেকে আবার সচেতন ভাবে চিজ দেওয়া খাবার-দাবার এড়িয়ে যাই। কারণ চিজকে অনেকে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর মনে করে। কিন্তু চিজ খাওয়ার কিছু উপকারিতাও আছে, যা আমরা অনেকেই জানি না বা জেনেও উপেক্ষা করে যাই।
চিজের উপকারিতা
চিজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম থাকে। পাশাপাশি এতে কার্বোহাইড্রেট কম মাত্রায় পাওয়া যায়। যাঁরা কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়ের মেনে চলছেন, তাঁরা নিজের খাবারে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিজ যোগ করতে পারেন। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম থাকে। নিজের পুষ্টিগুণের জন্য চিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, মাংসপেশীর নির্মাণ ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কম রাখতে ও হাড় মজবুত করতে চিজ উপকারী। গবেষকদের দাবি, প্রতিদিন ৪০ গ্রাম চিজ খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
চিজকে নিজের খাদ্য তালিকায় কীভাবে যোগ করবেন
নানান উপায় নিজের খাদ্য তালিকায় চিজ যোগ করা যায়। ব্যালেন্স ডায়েটের জন্য সঠিক পরিমাণে ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের উপস্থিতি জরুরি। কী ভাবে ডায়েটে চিজ যোগ করতে পারবেন, জেনে নিন—
১. স্যালাড যদি আপনি ডায়েটের অংশ হয়, তা হলে এতে চিজ যোগ করতে পারেন। গ্রিন স্যালাড বা ফলের সঙ্গে কিউবে কাটা চিজ মিশিয়ে খান।
২. ডিমের অমলেট তৈরি করার সময় এতে চিজ গ্রেট করে মিশিয়ে দিন। এই প্রাতঃরাশ যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর।
৩. পরোটার মধ্যেও চিজের পুর ভরে, তার পরোটা বানিয়ে খাওয়া যায়। এই পদটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর।