১৫ বছর থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের এখন ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে কম বয়সীরা কতটা নিরাপদ কোভিডের থেকে? কারণ ইতিমধ্যেই ছোটদের মধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর সেটাই চিন্তায় ফেলেছে বাবা-মায়েদের থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের। তবে এখনও র্যন্ত শিশুদের মধ্যে কোভিডের উপসর্গ মৃদু। সেটাই আশার কথা।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের নামজাদা চিকিৎসক, ফুসফুস বিশেষজ্ঞ বিকাশ মৌর্য্য জানিয়েছেন, ‘অনেকেই নানা শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি গলাব্যথা, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তার মধ্যে যেমন বড়রা আছেন, তেমনই আছে শিশুরাও।তবে শিশুদের মধ্যে উপসর্গের মাত্রা কম।’
আর এক নামজাদা ফুসফুস বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক হরিশ চাফেল হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘শিশুদের টিকাকরণ হয়নি।ফলে তাদের মধ্যে কোভিডের সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি তো রয়েছেই। বিশেষ করে যেহেতু ওমিক্রনের সংক্রমণের হার খুব বেশি। যে সব বড়রা ভিড় থেকে ঘুরে আসছেন, তাঁদের মধ্যে ওমিক্রন দ্রুত ঢুকছে, সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। আর তাঁদের থেকে ছড়িয়ে পড়ছে ছোটদের মধ্যে।’ তবে তিনিও বলছেন, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, ছোটদের মধ্যে এই রোগের উপসর্গ এখনও মৃদুই। ফলে ছোটদের নিয়ে এখনই উতলা হওয়ার কিছু নেই।
শিশুরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে কি না, তা বোঝার জন্য চিকিৎসকরা কয়েকটি উপসর্গের কথা বলেছেন। সেগুলি হল:
- জ্বর
- সর্দি
- গলাব্যথা
- গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা
- শুকনো কাশি
ছোটদের মধ্যে এই লক্ষণগুলি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এমনিে ছোটদের করোনা নিয়ে বিশেষ ভয় না থাকলেও, যে সমস্ত শিশুদের জটিল অসুখ রয়েছে, তাদের আলাদা করে খেয়াল রাখতে হবে। তেমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা