HT Bangla 5 Years: স্টেশন থেকে কলেজ হেঁটে যাওয়াই অভ্যাস। সময় লাগে ২০ মিনিট। একদিন স্যরের প্রশ্ন, রোজই দেরি করে ঢোকো, কোন বাসে আসো? কিছু বলার আগেই এক বন্ধু স্যরকে বলে বসল ১১ নম্বর বাস স্যর। শুনে আমি অবাক। কোনও বাসে চড়লে থোড়াই এত লেট হয়? পরে বুঝলাম, ১১ নম্বর বাস আসলে দুটো পা-কে বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু এখনকার দিনে পা বলতে যদি কেউ শুধু রক্তমাংসের পা বোঝে, তাহলে তার ঘোর সমস্যা। কারণ পা এখন প্রযুক্তি। ব্রেন এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। হার্ট একটা ননস্টপ মেশিন। শরীর কি তবে চ্যাটজিপিটি ও এআই প্রযুক্তিতে সম্মোহিত হতে চলল?
শরীর বনাম যন্ত্র
তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের কথায়, শরীরের মতো ‘মেশিন’ ৮০-৯০ বছর টেঁকে। কিছুদিনের মধ্যেই এমন যন্ত্র বানিয়ে ফেলা সম্ভব, যা ১০০ বা ২০০ বছরের বেশি টিঁকবে। যেমন টিঁকে থাকে সৌধ, রাজপ্রাসাদ, সেতু। বুদ্ধিমান ব্য়ক্তি সহজেই বুঝতে পারছেন, যন্ত্রের দৌরাত্ম্য কীভাবে বাড়তে চলেছে আগামী পৃথিবীতে। যন্ত্রের রাজ্য আর মানুষের রাজ্য়ের মধ্য়ে লড়াই বেঁধে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। গত পাঁচ বছরে প্রযুুক্তির জগত আমূল বদলে গিয়েছে। কোভিডকালে মানুষ ছিল ঘরবন্দী। রাস্তাঘাট দখল করেছিল বিভিন্ন প্রযুক্তি। কখনও সেটা অ্যাপ, কখনও মেডিকেল কিট, এমার্জেন্সি অ্যাসিসট্য়ান্স, কখনও বা নেটওয়ার্ক সিস্টেম। ‘বহুরূপে সম্মুখে তোমার…।’
শেষ যুদ্ধ স্নায়ুযুদ্ধ?
কিন্তু এআই, মেশিন লার্নিংয়ের মতো তাবড় তাবড় ‘বড়লোক’ প্রযুক্তির সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন? অনেকেই বলেন এখনও পর্যন্ত ‘কমপ্লিকেটেড রিলেশনশিপ’। অন্যদিকে গুটিকয়েক মানুষ এর ব্যবহার শিখে তরতরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে অবশ্য বাহনে। পায়ে হেঁটে নয়। ফলে হাঁটতে ভুলে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়! ভবিষ্যত কোনদিকে যাবে না যাবে, তা এখন এই লেখা লিখতে লিখতে ভেবে ফেলা ঠিক নয়। তবে হ্যাঁ, মানুষ বরাবরই মস্তিষ্কের জোরে জিতেছে রক্তারক্তি যুদ্ধ। দখল করেছে সাম্রাজ্য। মানুষই মস্তিষ্ক দিয়েছে যন্ত্রকে। তাই মানুষের পক্ষেই সম্ভব যন্ত্রের নিউরোন নিয়ন্ত্রণের কৌশল খুঁজে বার করা। অথবা বাড়াবাড়ি আটকাতে ফের যুদ্ধ ঘোষণা করে নিউরোনগুলিকে বশ করা। পৃথিবী মানুষের বাসযোগ্য করে তুলতে হলে কোনটা করা উচিত, তা রাষ্ট্রপ্রণেতারা ঠিক করবেন। হয়তো এখনকার মতোই গুটিকয়েক মানুষের অর্থ, প্রতিপত্তি ও বিজ্ঞানের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কোটি কোটি অসহায়দের নিয়ন্ত্রণ করবে। আর তা হলে দিন-আনি-দিন-খাই মানুষের যুদ্ধ বা বিদ্রোহ হবে যন্ত্রের বিরুদ্ধে। তিতুমীর যেমন লড়েছিল বাঁশের কেল্লা বানিয়ে।
HT বাংলার অঙ্গীকার
এখনও পর্যন্ত প্রযুক্তির ঘানি থেকে বেরোনো তেলে সুস্বাদু রান্না হচ্ছে। HT বাংলার ওয়েবসাইট সম্ভবত প্রথম ওয়েবসাইট যারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কন্ঠ দিয়ে বিভিন্ন ভিডিয়োতে খবরের বিবৃতি দিয়েছে। ইউটিউবে সেই ভিডিয়ো পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতেও প্রযুক্তিকে মানুষের কল্যাণেই ব্যবহার করবে HT বাংলা। ডিজিটাল মাধ্যম হিসেবে পাঁচ বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই অঙ্গীকার না করলেই নয়। মানুষের শত্রুপক্ষ নয়, মিত্রপক্ষ হিসেবেই প্রযুক্তিকে ঘরে স্থান দিতে চায় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। কে না জানে, মৈত্রীর মানসিকতাই পারে সব কিছু জয় করতে। নিউরোনের শ্রেষ্ঠ যুদ্ধে জয়ের পদ্ধতি হয়তো এটাই!