শীতকালে অনেক ফল ও সবজি পাওয়া যায়, যেগুলো খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। তেমনই একটি সবজি হল মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলু ইংরেজিতে মিষ্টি আলু নামেও পরিচিত। মিষ্টি আলুতে স্বাস্থ্যকর চর্বি, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি৬ এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা শীতে শরীর গরম রাখতে এবং সুগার, বিপি এবং শুষ্ক ত্বকের মতো অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই শীতে মিষ্টি আলু খাওয়ার কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
শীতে মিষ্টি আলু খেলে এসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়
হজমের উন্নতি-
মিষ্টি আলুতে উপস্থিত উচ্চ ফাইবার হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শীতকালে মিষ্টি আলু খাওয়া হজমশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে প্রতিদিন 1 থেকে 2 টুকরা মিষ্টি আলু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি এবং পেট ব্যথার মতো সমস্যা হয় না।
শুষ্ক ত্বক
ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক প্রায়ই শুষ্ক এবং প্রাণহীন দেখাতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে মিষ্টি আলুতে উপস্থিত ভিটামিন এ, ই এবং সি ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায় শুষ্কতার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বলিরেখা রোধ করে।
উচ্চ রক্তচাপ
মিষ্টি আলু খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও দূর হয়। এতে উপস্থিত ফাইবার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যেখানে পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
আয়রনের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা
শরীরে আয়রনের ঘাটতির কারণে শক্তি ক্ষয় হয়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আসুন আমরা আপনাকে বলি, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন মিষ্টি আলু খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর হয়।
ডায়াবিটিস
মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। মিষ্টি আলু রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে, যার কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রায় কম প্রভাব ফেলে। এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। সাদা খোসা ছাড়ানো মিষ্টি আলু খাওয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।