বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Pregnancy & Omicron: করোনার তৃতীয় ঢেউ আর ওমিক্রনের মাঝেই আপনি প্রেগন্যান্ট? অবশ্যই মেনে চলুন এই টিপস

Pregnancy & Omicron: করোনার তৃতীয় ঢেউ আর ওমিক্রনের মাঝেই আপনি প্রেগন্যান্ট? অবশ্যই মেনে চলুন এই টিপস

ওমিক্রনের সময় প্রেগন্যান্ট মহিলারা যেসব বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখবেন।

নিজে সুস্থ থাকতে ও আগত সন্তানকে সুস্থ রাখতে যেসব বিষয়ের প্রতি কড়া নজর অবশ্যই রাখবেন…

করোনার তৃতীয় ঢেউ-র মাঝে রয়েছি আমরা। দেশ জুড়ে নতুন করে থাবা বসিয়েছে করোনা। আর এবার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওমিক্রন আতঙ্ক। যদিও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে খুব কম উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তবে এটি ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। তাই গর্ভাবস্থায় রয়েছেন যেই মহিলারা, তাঁদেরও করোনা আক্রান্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

সাধারণত ওমিক্রনের ক্ষেত্রে গলা ব্যথা, কফ, গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা, জ্বর, নাক থেকে জল পড়া, হাঁচি আর ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে বমি বমি ভাব, খিদে না পাওয়া বা খাবারের স্বাদ না পাওয়াও ওমিক্রনের উপসর্গ। 

বর্তমান সময়ে যারা প্রেগন্যান্ট তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এমনকী, এটি গর্ভস্থ ভ্রুণের বেড়ে ওঠার ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, করোনার টিকা নেওয়া থাকলে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে। এমনকী, শারিক জটিলতাও টিকা নেওয়া থাকলে কম থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

গাইনোকলজিস্ট ডাক্তার প্রতিমা থামকে এই করোনা মহামারীর সময় গর্ভবতী মহিলাদের যেসব বিষয়ের ওপর নজর দেওয়ার কথা বলেছেন--

সঠিক খাওয়া ও ঘুম

প্রেগন্যান্সির সময় এমনিতেই মহিলাদের ইমিউনিটি কম থাকে। তাই করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনাও থাকে বেশি। তাই এই সময় এমন খাবার খেতে হবে যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। বাইরের খাবার, তেলেভাজা, প্রসেসড খাবার যত কম খাওয়া যায় ভালো। তার জায়গায় মরশুমি ফল-সবজির ওপর জোর দিতে হবে। সঙ্গে চাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম। 

সচল থাকুন, শরীরচর্চা করুন

প্রেগন্যান্সিতে নিজেকে সুস্থ রাখতে যোগা করুন। সঙ্গে মনের মধ্যে যদি দেখেন দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধছে তাহলে মেডিটেশন অর্থাৎ ধ্যান করুন। ফুসফুস ভালো রাখতে ব্রিদিং এক্সারসাইজও করতে পারেন। 

বাড়িতে অতিথি আসা বন্ধ রাখুন

করোনার সময়ে বাড়িতে বাইরের লোক যত কম আসে তত ভালো। তা সে আপনার যত ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হোক না কেন। এমনকী, আপনিও কোনও জলসা বা অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ থাকলে এই সময়টা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। 

প্রেগন্যান্সিতে করোনা

যদি আপনি প্রেগন্যান্ট হন এবং করোনা আক্রান্ত হন তাহলে প্রথমেই নিজেকে কোয়ারেন্টাইনে রাখুন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধ খান। নির্দিষ্ট সময় পরপর টেম্পারেচার আর শরীরের অক্সিজেন লেভেল মাপুন। 

রাস্তায় মুখে হাত দেবেন না

আমাদের হাত চারপাশের নানা জিনিসের সংস্পর্শে আসে প্রায়শই। তাই খুব প্রয়োজন না পড়লে হাত মুখে লাগাবেন না। জল বা খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হলে মাস্ক খুলুন আগে। তারপর হাত স্যানেটাইজ করে খাবার ও জল পান করুন ও পুনরায় মাস্ক পরে নিন। 

অনলাইন কেনাকাটা করুন

আপনি যদি আলাদা থাকেন বা শুধু আপনি আর আপনার স্বামী বাড়ির বাইরে থাকেন তাহলে বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিস বা ওষুধপত্র আনিয়ে নিন অনলাইনে। সেগুলো স্যানেটাইজ করে অন্তত ২দিন পরে আনপ্যাক করুন। ততদিন বাড়ির এমন একটা জায়গায় পার্সেল রেখে দিন যেখানে কম যেতে হয়। 

বন্ধ করুন