ভরা বর্ষার পর, এ বছর দেশের বহু প্রান্তেই ডেঙ্গি সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে। দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে সব থেকে বেশি পরিমাণে দেখা গিছে এই রোগ। ডেঙ্গি মূলত মশাদের দ্বারাই সংক্রমিত হয়। এক জন আক্রান্তের থেকে অন্য জনে এই রোগ খুব একটা ছড়ায় না।।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গি খুব একটা সমস্যার সৃষ্টি করে না। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে সেটি জটিলতা ডেকে আনতে পারে। এবং কখনও কখনও তা জীবনহানির কারণও হতে পারে। মূলত ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই ডেঙ্গি জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
চিকিৎসক রণজিৎ উন্নিকৃষ্ণনের মতে, ‘ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের জন্য ডেঙ্গি একাধিক জটিলতা সৃষ্টি করে। ডেঙ্গি শরীরের উপর যে চাপ সৃষ্টি করে, তার ফলেই রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে।’
চিকিৎসক উন্নিকৃষ্ণনের মতে, ডেঙ্গির পর ডায়াবিটিস রোগীদের লিভারের ক্ষতি হতে পারে এবং রক্তক্ষরণের আশঙ্কা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ডেঙ্গির পর যে, ‘ডেঙ্গি শক সিনড্রোম’ হয়, তা আরও ভয়ানক। তাতে জ্বর, দাঁতের গোড়া এবং নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে। লিভার এনলারজমেন্টের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এর ফলে। বিষয়টি বেশি মাত্রায় সমস্যার হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের জন্য, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তুলনায় দুর্বল।'
তাহলে ডেঙ্গি প্রতিরোধ করতে ডায়াবেটিক রোগীদের ঠিক কী কী করা প্রয়োজন?
চিকিৎসক উন্নিকৃষ্ণনের মতে, প্রাথমিকভাবে মশার কামড় থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে হবে। যার জন্য মশার ধুপের মতো জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু এই ইডিশ ইজিপ্টাই মশাগুলি জমা জলে ডিম পাড়ে, তাই বাড়ির আশেপাশে যে কোনও রকম জমা জল থাকলে সেগুলি পরিষ্কার করে ফেলার ব্যবস্থা করা জরুরি।
যদি কারও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তবে তাঁর জ্বর হলে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। নজর রাখতে হবে, যাতে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়।