প্রথমে একটি অঙ্গ। তারপর সেখান থেকে ধীরে ধীরে অন্য়ান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়া। আর একবার এভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে ক্য়ানসার মারাত্মক হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসাও বেশ জটিল। রোগীকে বাঁচিয়ে তোলার আশা কিছুটা কমে যায়। সম্প্রতি ক্য়ানসারের এই ছড়িয়ে পড়া নিয়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেল। নেপথ্যে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের গবেষকরা।
কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার কোশ
ক্যানসার কোশ একটি অঙ্গ থেকে আরেকটি অঙ্গে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে — তা এতদিন স্পষ্ট জানা ছিল না বিজ্ঞানীদের। এই অজানার খোঁজই চালাচ্ছিলেন আইআইএসসি-র গবেষকরা। অবশেষে সেই খোঁজে সাফল্য এল। কীভাবে ক্যানসার কোশ এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে তা জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। অন্যদিকে কারা এই ব্যাপারে ক্যানসার কোশকে সাহায্য করে, তাও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - ‘হেব্বি টেস্ট বাবা!’ গাছের পাতা, সবজি কাঁচাই চিবিয়ে খান ইনি! কটাক্ষ নেটপাড়ার
কী বলছেন গবেষকরা
গবেষকদের কথায়, প্রথমে ক্যানসার যেখানে জন্ম নেয়, তাকে প্রাইমারি ক্যানসার সাইট বলে। এর পর সেখান থেকে অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে ক্যানসার কোশ। ক্যানসার কোশের এভাবে ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়াকে মেটাস্ট্যাসিস বলা হয়। ক্যানসার কোশের মেটাস্ট্যাসিস দীর্ঘদিন ধরে গবেষকদের গোলকধাঁধার মধ্যে রেখেছিল। অবশেষে সেখান থেকে বেরিয়ে আসল পথের সন্ধান পেলেন গবেষকরা।
আরও পড়ুন - কোল্ড ড্রিংকসের বোতলে জল খেলে কী হয়?
আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে প্রকাশিত
বায়োফিজিক্স জার্নালে সম্প্রতি এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা তাঁদের গবেষণাপত্রে দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি ক্যানসার কোশ তার আশেপাশের ক্যানসার কোশগুলির সঙ্গে বিক্রিয়া করে। কোন কোন রাসায়নিক তথ্য় আদানপ্রদান করে।
ডিম্বাশয়ের কোশ নিয়ে পরীক্ষা
ডিম্বাশয়ের ক্য়ানসার কোশ নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। পলিগ্যানাল শেপড ওভকার-৩ ও স্পিন্ডল শেপড এসকে-ওভি-৩ কোশ দুটিকে পরখ করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, ক্যানসার কোশ হলেও এরা সুস্থ কোশের মতো বিচরণ করে বেড়ায়। ফলে প্রথম প্রথম এদের চলাচল ধরে ফেলা খুব শক্ত। কোশের এই চলাচলকে ধরার জন্য একটি সফটওয়্যারও ডেভেলপ করেন বিজ্ঞানীরা। শ্যানন এনট্রপির বৈশিষ্ট্য সমন্বিত ওই সফটওয়্য়ারই বুঝতে সাহায্য করে কীভাবে ক্যানসার কোশ এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে।