ওমিক্রন ভাইরাসের বিকিউ.১ ও বিকিউ.১.১, এক্সবিবি ভ্যারিয়ান্টের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি নয়। কিন্তু এই প্রতিটি ভাইরাসই রোগপ্রতিরোধক্ষমতা ভেদ করে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এমন অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করে তোলার দিকে নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সঠিক ডায়েট পরিকল্পনা করা জরুরি। ডায়েটে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপকরণ যেমন ভিটামিন সি, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যসিড সমৃদ্ধ খাবার থাকা উচিত। তেমনই থাকা দরকার আদা, আমলকি, হলুদ প্রভৃতি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় এমন খাবার।
হেলথ হ্যাবিট্যাটের ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও কনসাল্টিং পুষ্টিবিদ প্রাচী শাহের মতে, কোভিড-১৯-এর পর থেকে সারা বিশ্বেই স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হিসেবে তেমনই কয়েকটি পুষ্টিকর উপাদানের হদিশ থাকছে এখানে।
রোজকার খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন থাকা জরুরি। ডিম, সামুদ্রিক মাছ, ডাল, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার তাই রোজই ডায়েটে থাকা উচিত।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক, রেড বেল পেপার, ব্রকলি ইত্যাদি রাখা যেতে পারে প্রতিদিনের ডায়েটে।
এছাড়াও রোগ প্রতিরোধের জন্য বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ভিটামিন সি-এর। আমলকি ও পেয়ারার মতো ফল ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ উৎস।
ওমেগা তিন হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। কাঠবাদাম, ফর্টিফায়েড খাবার, সামুদ্রিক মাছ ওমেগা তিন- সমৃদ্ধ খাবার।
জিঙ্ক শরীরের মেটাবোলিজম ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জিঙ্কের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে অনেকেই জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন। তবে ডিম, বাদাম, কুমড়োবীজ, লেগিউম ইত্যাদি জিঙ্কের অন্যতম উৎস।
ভিটামিন ডি-ও অন্যান্য ভিটামিনের মতো একটি কার্যকরী ভিটামিন। একইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সরাসরি সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস।
পরিশ্রুত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।এই ধরনের খাবারে ক্ষতি হতে পারে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার। পাঁউরুটি, পাফ, কেক ও অন্যান্য বেকারি খাদ্যদ্রব্যগুলিতে পরিশ্রুত কার্বোহাইড্রেট যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। তাই এগুলো প্রতিদিনের ডায়েট থেকে দূরে রাখাই ভালো।
এছাড়াও হলুদ, আদা ইত্যাদি বহুদিন ধরেই বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ফলে এগুলোও ডায়েটে থাকা জরুরি।