বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Facts about children day: শিশু দিবস সম্পর্কে এই তথ্যগুলি হয়তো অনেকেই জানেন না
প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর সারা দেশজুড়ে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস। এই একই দিনে জন্মেছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরু। নেহরু বাচ্চাদের কাছে চাচা নামে পরিচিত ছিলেন। তার জন্মদিন উপলক্ষেই মূলত দিনটি শিশুদিবস হিসেবে পালিত হয়।
তবে শিশু দিবসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিছু অবাক করা তথ্য। এই প্রতিবেদনে থাকছে সেগুলোরই হদিশ।
- ভারতে শিশু দিবস পালিত হয় মূলত শিশুদের অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে। পড়াশোনা ও সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারগুলো নিয়ে সবাইকে সচেতন করতেই এই দিন পালন করা হয়।
- ভারতে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে ১৯৫৯ সাল থেকে।
- প্রথমদিকে দিনটি ১৪ ই নভেম্বর পালন করা হত না। তখন তারিখটি ছিল ২০ই নভেম্বর। ২০ তারিখ জাতিসংঘের তরফ থেকে আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালন করা শুরু হয়। জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই দিনটিই ছিল জাতীয় শিশু দিবস।
- ১৯৬৪ সালে জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর সারা দেশজুড়ে ১৪ই নভেম্বর শিশু দিবস পালন অরা শুরু হয়।
- ভারতের মতো অনেক দেশই নিজস্ব শিশু দিবস পালন করে থাকে। তবে ব্রিটেন এর ব্যাতিক্রম। সে দেশটি আলাদাভাবে শিশু দিবস পালন করে না।
- সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৫০টি দেশ পয়লা জুন শিশু দিবস পালন করে।
- এই দিনটি উপলক্ষে দেশের প্রতিটি স্কুল শিশু দিবস উপলক্ষে নানারকম কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। এতে শিশুর পাশাপাশি তাদের অভিভাবকরাও অংশ নিয়ে থাকেন।
- এই দিনটি বাচ্চাদের ছুটির দিন। তবে বেশকিছু দেশে তেমনটা নয়। যেমন জাপানে শিশু দিবসে বাচ্চারা কোনও ছুটি পায় না।
- এই দিনে স্কুলে বাচ্চাদের মিষ্টি, বিস্কুট, চকোলেট দেওয়া হয়। এছাড়াও নানারম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিশু দিবসে আপনি চাইলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দুঃস্থ বাচ্চাদের নানাভাবে সাহায্য করতে পারেন। বিভিন্ন উপায়ে তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে।
- পরিচিত কোনও অনাথ আশ্রমে গিয়ে তাদের সঙ্গে নানারকম অনুষ্ঠানে জড়িত থাকা যায়। এই অনুষ্ঠানের সময়ই তাদের চকোলেট ও মিষ্টি দেওয়া যেতে পারে।
- এছাড়াও অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তাদের জামাকাপড়, গল্পের বই ও পড়ার সরঞ্জাম দেওয়া যায়।
- এছাড়াও ওদের পছন্দের নানা খেলনাও কিনে দেওয়া যেতে পারে।