যা করেছেন তা, বেশ করেছেন। দরকার হলেই আবার এমন করতে পারেন। প্রায় এমনই অর্থপূর্ণ একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলেন কবীর সুমন।
ইতিমধ্যেই কবীর সুমনকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। শুক্রবার এক বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিককে তিনি গালিগালাজ করেছেন বলে দাবি ওঠে। টেলিফোনের সেই কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। সেখানে কবীর সুমনের কয়েক জন অনুরাগী এবং বন্ধু রাজনৈতিক মতাদর্শের যুক্তিতে তাঁকে সমর্থন করলেও, বড় সংখ্যক মানুষ তাঁর আচরণের বিরোধিতা এবং সমালোচনা করেন।
এরই পরে শনিবার একটি পোস্ট করেছেন কবীর সুমন। সেখানেই বলেছেন, এর পরে দরকার হলে এমন আচরণ তিনি আবার করবেন। তবে তাঁর এই পোস্টটি ‘পাবলিক’ নয়। এটি শুধুমাত্র তাঁর বন্ধু-তালিকায় থাকা মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
কী লিখেছেন সেই পোস্টে?
তিনি লিখেছেন, ‘এব্রাহাম লিনকন বলেছিলেন— কিছুর পক্ষে যুক্তি দিতে যেও না, তোমার বন্ধুদের তা দরকার পড়বে না, তোমার শত্রুরা তা বিশ্বাস করবে না। সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম, শিল্পীর কোনও আলাদা স্বাধীনতা থাকতে পারে বলে মনে করি না। যে কোনও মানুষের যে অধিকার, তাদের অধিকার ততটাই। একটি বিশেষ চ্যানেল ও তার সাংবাদিকরা দিনের পর দিন যা করে যাচ্ছে তার জবাব দিয়েছি উপযুক্ত ভাষায়। সুরসম্রাজ্ঞীর অপমানের বিরুদ্ধে যে সাংবাদিক বৈঠক হয়েছিল সেখানে কোন চ্যানেলের কোন সাংবাদিক কী করেছে, বলেছে আমি ভুলিনি।’
এখানেই থেমে যাননি তিনি। এর পরে লিখেছেন, ‘সারা দুনিয়ায় সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকরা তাদের ইচ্ছেমতো পথে চলে, যে কোনও উপায় নেয়। যার হাতে চ্যানেল কাগজ কিছু নেই সে-ও তার ইচ্ছেমতো উপায় নেবে।’
এর পরে কবীর সুমন জার্মান সাহিত্যিকের প্রসঙ্গ তুলে লিখেছেন, ‘জার্মান কাহিনিকার হাইনরিশ্ ব্যোল্ (Heinrich Boell) এর লেখা The Lost Honour of Katharina Blum উপন্যাসটি পড়ুন। বইটি পড়া দরকার। এক প্রাক্তন সাংবাদিক ও নিয়মিত পাঠক হিসেবে বলছি।’
শেষ করেছেন, তাঁকে নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গটি দিয়ে। লিখেছেন, ‘ফোনে, হোয়াটস্যাপে স্বাভাবিকভাবেই আমি আক্রান্ত। এটাই হবার কথা। আরও হবে। আমার যায় আসে না। যা করেছি তা, দরকার হলেই, আবার করব।’ শেষে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, জয় বাংলা খেয়াল, জয় সুরসম্রাজ্ঞী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়’।
তবে ইতিমধ্যেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক নানা রাজনৈতিক মাত্রা পেয়ে গিয়েছে। বিজেপি ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। দলের কাউন্সিলর সজল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুচিপাড়া থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করবেন কবীর সুমনের বিরুদ্ধে।