একটু গ্রামের দিকে গেলেই দেখা মেলে খাটিয়া নামের বস্তুটির। এর চারটে পায়ার মধ্যে একটি জালের মতো থাকে। কিন্তু থাকে না কোনও জাজিম। এই খাটিয়া আজ নয়, বহুদিনের পুরনো একটি আসবাব। অনেক পুরনো আমলের বাড়িতেও দেখা যায় এই ধরনের বিছানা। সাধারণত দামও থাকে নিম্নবিত্ত মানুষদের সাধ্যের মধ্যে। তবে এই সাধারণ খাটিয়াকেই অসাধারণ বানিয়ে দিল আমেরিকার এক ইকমার্স সংস্থা। অনলাইনের দৌলতে আজকাল বিভিন্ন জিনিস হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বাড়ি বসে অর্ডার দিলেই জিনিসটা হাতে এসে যায়। অনলাইনে খাবার থেকে আসবাব, ফোন থেকে অন্যান্য ইলেকট্রনিক জিনিস পাওয়া যায় প্রায় সবকিছুই। এবার সেই তালিকায় জায়গা করে নিল ভারতের গ্রামেগঞ্জের এই পরিচিত আসবাবটি। খাটিয়ার দেখা মিলল আমেরিকার একটি ইকমার্স বিপননী সাইটে।
আরও পড়ুন: মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে সঠিক ফল আসে? রইল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
আরও পড়ুন: ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মনখারাপ, ইমোশনাল ইটিংই বড় ‘ভিলেন’! আদতে কী এটা
তবে শুধুই কি সাইটে নাম নথিভুক্ত আছে বলে খবরের শিরোনামে এসেছে খাটিয়া? নাহ, তা নয়। বরং চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সেটির দাম। সংস্থার ওয়েবসাইটে যে দাম লেখা একটি খাটিয়ার, তা মোটেই নিম্নবিত্তদের সাধ্যের মধ্যে নয়। শুধু সেটা বললেও কম বলা হয়। মধ্যবিত্তরাও অত দাম দিয়ে জিনিসটা কেনার আগে ভাববেন। আমেরিকান সংস্থা ইটসির ওয়েবসাইটে জিনিসটির দাম দেখাচ্ছে এক লাখেরও বেশি। অধিকাংশ ভারতীয় যে দাম দেখলে রীতিমতো চোখ কপালে তুলতে বাধ্য হবেন। এর পাশাপাশি আরেকটি তথ্যও জেনে রাখা ভালো। বেশিরভাগ গ্রামের বাড়িতেই দেখা পাওয়া যায় এই খাটিয়ার। আর এর দাম খুব বেশি হলে ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা। সেই খাটিয়াই বিদেশি সংস্থার ওয়েবসাইটে বিকোচ্ছে ১,১২,১৬৮ টাকায়।

চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সেটির দাম
(etsy,com)তবে এত দাম ধার্য করার পাশাপাশি বেশ রাশভারি নামও রাখা হয়েছে খাটিয়ার। একটি খাটিয়ার ছবি দিয়ে নিচে লেখা হয়েছে ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী সুসজ্জিত কারুকার্য করা বিছানা! যা একরকম ক্রেতাদের মগজ ধোলাইয়ের কায়দা বলেই মনে করছেন অনেকে। কোন সংস্থার তরফে এই খাটিয়া বিক্রি করা হচ্ছে, কীভাবেই বা এটি তৈরি করা হয়েছে সে কথাও লেখা রয়েছে এই ছবির তলায়। এবার এক লাখ টাকা দিয়ে জিনিসটি কেনা না কেনা সম্পূর্ণ ক্রেতাদের উপর নির্ভর করছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup