শুধু ঘুরতে গিয়েই বিলিয়ন ডলার উড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয়রা। সেই তুলনায় শিক্ষা খাতের খরচ কিন্তু অনেকাংশে কম। ২০২৪ সালের অর্থবর্ষে রেমিট্যান্স স্কিমের অধীনে ভারতীয়রা বিদেশে রেকর্ড ৩১.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এটি ২০২৩ সালের অর্থবছরে রেকর্ড করা ২৭.১ বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। অতিরিক্ত কর চাপা সত্ত্বেও এই বৃদ্ধি ঘটেছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে ২০২৩ সালের অক্টোবরে টিসিএস বাস্তবায়নের পর মাসিক গড় ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। এরপর ভারতীয়রা ব্যাপকভাবে বিদেশ ভ্রমণ করেছে এবং অর্থবর্ষ ২০২৪ এ ১৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এটি গত বছরের ১৩.৬ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে ২৪.৫ শতাংশ বেশি।
আবার এলআরএস-এর অধীনে, ব্যয়ে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের অংশ করোনা মহামারী শুরু হওয়ার আগে ৩৭ শতাংশ ছিল। তা থেকে বেড়ে ২০২৪ অর্থবছরে ৫৩.৬ শতাংশ হয়েছে। বিধিনিষেধের কারণে ২০২১ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ব্যয় ৩.২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
- বিদেশে শিক্ষার জন্য পাঠানো অর্থের ভাগ বা রেমিটেন্স কমেছে
অন্যদিকে, বিদেশে শিক্ষার জন্য পাঠানো অর্থের ভাগ ক্রমাগত কমছে। ২০২১ অর্থবছরে শিক্ষায় রেমিটেন্সের অংশ ছিল ৩০ শতাংশ। মহামারী চলাকালীন ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এরপর ২০২২ অর্থবছরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরে এর শেয়ার ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে। শিক্ষা খাতে ব্যয় ২০২৩ অর্থবছরে ৩.৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, এক বছর আগে যা ৫.২ বিলিয়ন ডলার ছিল। এই কারণে, মোট ব্যয়ের অংশ কমেছে ১২ শতাংশ পর্যন্ত। ২০২৪ অর্থবছরে ভ্রমণ ব্যয় বৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও, বিদেশে অধ্যয়নের ব্যয় প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্তই স্থিতিশীল ছিল। ভারতীয়রা বিদেশে আত্মীয়দের রক্ষণাবেক্ষণে ৪.৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
- বৈশ্বিক পর্যটন সূচকে কত নম্বরে ভারত
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (WEF) ভ্রমণ ও পর্যটন উন্নয়ন সূচক ২০২৪ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পর ২০২৪ সালের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে রয়েছে স্পেন, জাপান, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। শীর্ষ দশে ব্রিটেন, চীন, ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের পর জার্মানি রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। ভারত ৩৯ তম স্থানে পৌঁছেছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত তালিকায় ভারত ৫৪ তম স্থানে ছিল। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মতে, এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। দক্ষিণ এশীয় এবং নিম্ন- মধ্যম আয়ের দেশের অর্থনীতির মধ্যে ভারতের স্থান এখন সর্বোচ্চ।