হারিয়ে যাওয়া লাগেজের বদলে বেছে নিতে পারেন বিনামূল্যে একটি আসন বা খাবার! বিমান সংস্থার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এমন কায়দা দেখে রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছেন নেটিজেনরা
কিছুদিন আগে লাগেজ হারানোর সুবাদে এমন অভিনব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন ইন্ডিগোর যাত্রী ল্যো ডেল বেলো। সোমবার বিদেশী তরুণী টুইটারে ইন্ডিগোর এই প্রত্যুত্তরটি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায় বিমান সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, আশা করি আমাদের টিম আপনার সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে ফোন করেছে। আমরা বর্তমানে আপনাকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অবস্থায় নেই। তবে পরের বার আপনাকে বিনামূল্যে একটি আসন বা খাবার দেওয়া হবে।
ল্যো ডেল বেলো পেশায় লাইটস অন নিউজলেটারের জলবায়ু ও শক্তিবিষয়ক প্রতিবেদক। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি ভারতে রয়েছেন। পেশার কারণে প্রায়ই তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। কিছু দিন আগে তেমনই ইন্ডিগোর বিমানে করে নিজের গন্তব্যে যাচ্ছিলেন ল্যো। বিমান থেকে নামার পর তিনি সংস্থার কাছে থেকে তাঁর লাগেজ পাননি। লাগেজের মধ্যে ছিল বেশ কয়েকটি মূল্যবান দ্রব্য ও গুরুত্বপূর্ণ নথি। সংস্থার তরফে জানানো হয়, কোনও কারণে লাগেজটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, পেলেই তাঁকে জানানো হবে। বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর পরে ইন্ডিগোর যাত্রী পরিষেবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন এই প্রতিবেদক। আশা ছিল, দেরি হলেও খুঁজে পাওয়া যাবে লাগেজ। যাত্রী পরিষেবা থেকেও তাঁকে যথাসম্ভব সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে এক সপ্তাহ ধরে খুঁজেও তাঁর লাগেজ মেলেনি। তাঁকে সে কথা বিমান সংস্থার তরফে জানানোর পর তিনি ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। ইন্ডিগোর তরফে তখনই এমন উত্তর দেওয়া হয়।
এমন উত্তর পেয়ে স্বাভাবিকভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ল্যো। তাঁর প্রশ্ন, যে বিমান সংস্থার ন্যূনতম দায়িত্বজ্ঞান নেই তাদের পরিষেবা কখনও ব্যবহার করাই উচিত নয়। পেশার সূত্রে তিনি বিভিন্ন দেশে থেকেছেন, তবে এমন পরিস্থিতি তাঁর কাছে প্রথম। ইন্ডিগোর পরিষেবাকে ‘ক্লাউন’ বলেও উল্লেখ করেন প্রতিবেদক।বর্তমানে ইন্ডিগো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অবস্থায় নেই। এমন কথা বলার কারণ পিছনে অনেকে তাদের অপেশাদারি মনোভাবকে দায়ী করছেন।