কম খরচ বিদেশ থেকে ঘুরে আসতে চান? পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে সেক্ষেত্রে। ইন্দোনেশিয়া এর মধ্যে একেবারে প্রথমেই আসতে পারে। খুব খরচসাপেক্ষ তো নয়ই, বরং বহু সুন্দর জায়গা রয়েছে এখানে ঘুরে দেখার মতো। আর এই দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা অবশ্যই— তার রাজধানী জাকার্তা।
বহু পুরনো শহর জার্কাতায় যেমন রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া, তেমনই পূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য এর গলি গলিতে ছড়িয়ে রয়েছে। কী ভাবছেন? কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এমন কোনও জায়গায় ক’দিন ঘুরতে যেতে চান? তাহলে আপনার হাতে বিশেষ সময় নেই। মাত্র কয়েক বছর। প্রকৃতপক্ষে জাকার্তার হাতে আর কতটা সময় রয়েছে, তা কেউই জানেন না। সেই কারণেই জাকার্তা থেকে দ্রুত রাজধানী সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে সে দেশের সরকার। নতুন রাজধানী হতে চলেছে নুসানতারা।
কেন এই পরিকল্পনা?
Global Warming এবং Climate Change-এর প্রভাব পৃথিবীর উপর কী পরিমাণে পড়ছে, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ এই বিরাট শহর। বড় শহরগুলির মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি, জলতল বৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি মাত্রায় পড়ছে জাকার্তায়। এবং অতি দ্রুত এই শহর জলের চলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাই তড়িঘড়ি এই শহর ছেড়ে রাজধানী অন্যত্র সরানোর কথা ভাবা হয়েছে। ২০২২-২৩ সালের মধ্যেই রাজধানী স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে। বছর ২০-র মধ্যেই নতুন রাজধানী নুসানতারাকে পুরোপুরি সাজিয়ে ফেলার পরিকল্পনা রেয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকারের।
World Economic Forum (WEF)-এর রিপোর্টও বলছে, জাকার্তার হাতে বেশি সময় নেই।জাভা সি-র পাশে অবস্থিত এই শহরে মাঝে মধ্যেই বিপুল পরিমাণে ঢুকে পড়ছে সমুদ্রের জল।
তবে রাজধানী স্থানান্তেরর কাজটি খুব সহজও হবে না। কারণ এই শহরটি পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতি পূর্ণ শহর। প্রায় ১ কোটি মানুষের বাস এখানে। ফলে রাজধানী স্থানান্তর করতে যেমন সময় লাগবে, তেমনই এই ১ কোটি মানুষের বসবাসের জন্যও জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে।
তবে জাকার্তার উদাহরণ যে পৃথিবীর অন্য বহু শহরের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে, তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার।