দূষণ একটি বড় সমস্যা, কিন্তু নয়ডার বাসিন্দা নমন গুপ্তা এর বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি সেরা উপায় খুঁজে পেয়েছেন! তাঁর এই অনন্য ধারণা সোশ্যাল মিডিয়ায়ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ক্রমবর্ধমান দূষণের যুগে পরিবেশ-বান্ধব কাজ করেছেন নমন। ব্যবহৃত সিগারেটের অংশগুলো দিয়ে টেডি বিয়ারের মতো ছোটদের খেলনা তৈরি করেছেন তিনি। এমনকি এগুলো দিয়ে সুতোও তৈরি করেছেন, যা দিয়ে বোনা যেতে পারে পরনের কাপড়। গুপ্তা তার ব্যবসা চালান সেক্টর ১৩৪, নাংলি গ্রামের একটি কারখানা থেকে। ভাইরাল হয়েছে তাঁর এই অনন্য কীর্তির ভিডিয়ো।
দিল্লি ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ওপেন লার্নিং থেকে স্নাতক হন গুপ্তা। কলেজ শেষ করার পরে নিজের কিছু শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই থেকেই তাঁর এই অনন্য জার্নি শুরু। গুপ্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি এমনই কিছু তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যার সত্যিই প্রায়োজন এবং এমনই সময় ব্যবহৃত সিগারেট তাঁর নজর কাড়ে। পরিবেশের জন্য একটি বড় সমস্যা এটি। এরই মোকাবেলায় গুপ্তা এগুলি সহজেই পুনর্ব্যবহারের কথা ভাবেন।
আরও পড়ুন: (Camphor Lamp: বাড়িতে কর্পূরের প্রদীপ জ্বালানো হয় কেন? কয়েকটি আশ্চর্য গুণের কথা জেনে নিন)
গুপ্তার কথায়, ফিল্টার, কাগজ, ফাইবার, এমনকি তামাক সবকিছু কীভাবে রিসাইকেল বা পুনরায় ব্যবহার করা যায় তা জানতে আমার প্রায় সাত মাস সময় লেগেছে। এই ব্যবহৃত সিগারেট দিয়ে এখন সফট টয় বা ছোটদের সবচেয়ে পছন্দের টেডি বিয়ারের স্টাফিংও তৈরি করেন নমন। ব্যবহৃত সিগারেট দিয়ে স্টেশনারি, কাগজ এবং এমনকি বোনা সুতার মতো পণ্যগুলি তৈরিতেও পুনর্ব্যবহার করা হয়।
ভাইরাল ভিডিয়ো দেখুন এখানে
২৭১ হাজারের বেশি ভিউ এবং ১৪ হাজারেরও বেশি লাইক সহ দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই ভাইরাল ভিডিয়ো।
নমন গুপ্তার এই নতুন শুরুর দিকে ফিরে তাকালে, তিনি মনে করেন এই ব্যবসা শুরু করাটা প্রথমে একটা চমৎকার ধারণা বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবে পরিণত করা ততই কঠিন ছিল। গুপ্তা বলেছেন, প্রথম দুই বছরে, ঠিকঠাক ডেলিভারি দিতে পারেননি। দিনে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ ব্যবহৃত সিগারেট নিয়ে কাজ করা সম্ভব হত। এর থেকে ৫০ থেকে ১০ গ্রাম ব্যবহারযোগ্য পণ্য পাওয়া যেত।
আরও পড়ুন: (Life Hacks: বাথরুমে দুর্গন্ধ হলে এই টিপসগুলি জেনে নিন, হোটেলের বাথরুমে এই কারণেই সুগন্ধ থাকে)
তবে, এখন সেই দিন কেটেছে। নমনের কথায়, এখন প্রায় প্রতিদিন ছয় লক্ষ থেকে সাত লক্ষ ব্যবহৃত সিগারেট থেকে, নয়ডা প্ল্যান্টে প্রায় এক থেকে দেড় টন ব্যবহৃত সিগারেট পুনর্ব্যবহার করা হয়। ভারতের ২৫০ জেলা জুড়ে ২,৫০০ র্যাগপিকার (যাঁরা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এই ব্যবহৃত সিগারেট সংগ্রহ করে আনেন) এবং ১০০ গ্রামীণ মহিলা কারিগর নমনের সঙ্গে কাজ করেন।