ওজন কমাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের পন্থার আশ্রয় নিয়ে থাকেন অনেকে। প্রথমেই ডায়েটে কাটছাঁট দিয়ে অনেকেই শুরু করেন ওজন কমানোর প্রক্রিয়া। এদিকে, খাবার তালিকা ছাঁটতে গিয়ে 'ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং'-এর আশ্রয় নিয়ে থাকেন অনেকে। নিউট্রিশিয়ানিস্টদের পরামর্শ বলছে, এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মূলত কতটা কম খাচ্ছেন তা নয়, বরং কতক্ষণ বাদ দিয়ে কী খাচ্ছেন সেটাই মূল কথা। তবে অনেকেই এটি গুলিয়ে ফেলেন! ফলে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। যার জেরে মহিলাদের স্বাস্থ্যে নানান খারাপ প্রভাব পড়ে।
নিউট্রিশিয়ানিস্টরা বলছেন, যদি সঠিক উপায়ে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করা যায়, তাহলে শরীর সুস্থ থাকে, কমে যায় ওজনও। তবে পদ্ধতিতে গণ্ডগোল হলেই মহিলাদের বিপাকে পড়তে হয় স্বাস্থ্য নিয়ে। গবেষণা থেকে জানা যায়, ক্যানসার নিরাময়ে বা অ্যালজাইমার রোধেও এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং খুবই জরুরি। শাক-সবজি একদমই খাচ্ছেন না! হচ্ছে মাথার যন্ত্রণা, বমিভাব? এগুলি কীসের লক্ষণ জানেন
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মহিলাদের শরীরে কোন প্রভাব ফেলে?
নিউট্রিশিয়ানিস্ট রাশি চৌধুরী বলছেন, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং থেকে শরীরে বিভিন্ন রকমের প্রভাব পড়ে। ফলে তা সঠিক পদ্ধতিতে করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই তা করা উচিত।
- অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের শরীরে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের জায়গায়। চোখে মুখে মিথ্য়া বলতে 'ওস্তাদ' এঁরা! জ্যোতিষ মতে কোন রাশিগুলির জাতক-জাতিকারা এমন
-আরও একটি গবেষণা বলছে, এই পদ্ধতিতে ক্যালোরি আটকাতে গেলে, গোনাডোট্রফিন রিলিজিং হরমোনে প্রভাব পড়ে মহিলাদের। যার জেরে পিরিয়ডে প্রভাব পড়ে। এছাড়াও পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে। এর সমাধানে, দুটি খাবারের সময়ের মধ্যে ২০ ঘণ্টার ফারাক রাখতে বারণ করা হচ্ছে।
-মহিলাদের শরীরে এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের প্রভাব পড়তে পারে যদি দুটি খাবারের মধ্যে ফারাক ৪ ঘণ্টার হয়। অনেক সময় এতে মহিলাদের শরীর সঠিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক সময় কাশিং সিন্ড্রোমও দেখা যায়।