প্রথম প্রেমের গল্প, মন ভাঙার গল্প, এ সবই নিজের বন্ধুর সঙ্গেই শেয়ার করে থাকি। এমনকি মন খারাপ হলে রাতে গল্প করার জন্য বন্ধুকেই বিরক্ত করি। আমাদের অনেক না-বলা কথাই আমাদের বন্ধু জানতে পেরে যায়।
তারিখ
৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস পালিত হয়। তবে ভারত, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অগস্ট মাসের প্রথম রবিবার বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে চিহ্নিত।
ইতিহাস
১৯৩০ সালে হলমার্ক কার্ডের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল বন্ধুত্ব দিবসের আয়োজন করেন। ২ অগস্ট এই দিনটি পালনের আয়োজন করেন, যাতে সকলে একসঙ্গে মিলে বন্ধুত্বের উৎসব পালন করে। তবে খুব শীঘ্রই সকলে বুঝতে পারেন যে এটি গ্রিটিংস কার্ড বিক্রির কৌশল।
ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেডের তরফে ১৯৫৮ সালের ৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। বন্ধুত্বের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সংস্কৃতির স্থাপনের জন্য প্রচার চালায় এই সংস্থা। ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই বিশ্বব্যাপী বন্ধুত্ব দিবস পালনের চিন্তা ডঃ র্যামন আর্টেমিও ব্রাকোর মাথায় আসে।
প্যারাগুয়ে শহরের পুয়ের্তো পিনাস্কোয়ে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে নৈশভোজে বসেছিলেন তিনি। তখনই বন্ধুদের মেরি গ্রুপ ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেডকে পথ ছেড়ে দেয়। এই সংস্থাটি জাতি, বর্ণ, ধর্ম, ভাষা, লিঙ্গ নির্বিশেষে নিঃস্বার্থ ও মানবদরদী বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কাজ করে।
এর পর ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রসংংঘ তৎকালীন সাধারণ সচিব কোভি আন্নানের স্ত্রী ন্যান আন্নান উইনি দ্য পু কার্টুন চরিত্রকে বন্ধুত্বের দূত হিসেবে চিহ্নিত করেন।
২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা ৩০ জুলাই তারিখটিকে আধিকারিক ভাবে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সমস্ত রাষ্ট্রকে নিজের ধ্যানধারণা ও সংস্কৃতি অনুযায়ী এই দিনটি পালনের জন্য আমন্ত্রণ জানায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
তাৎপর্য
ব্যক্তি, রাষ্ট্র, সংস্কৃতির মধ্যে বন্ধুত্ব শান্তিকে সুনিশ্চিত করবে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন জাতির মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটাবে। এই উদ্দেশে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসের সূচনা করা হয়।
সেলিব্রেশন
এই দিনটিতে বন্ধুরা একে অপরকে ফ্রেন্ডশিপ ব্যান্ড, কার্ড, উপহার দিয়ে পালন করে থাকেন। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে, পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটান। এ বছরের ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে নিজের বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করুন। দ্বেষ, হিংসা, ভেদাভেদ ভুলে সকলকে আপন করে নিন।