রোজ পরিবারের সদস্যদের খেয়াল রাখতে রাখতে নিজের খেয়াল রাখা আর হয় না। অফিসে কাজের চাপ সামলানো থেকে বাড়ির সদস্যদের কথা ভাবা, সন্তানের পড়াশোনা থেকে লোনের বোঝা সামলানো সবই পুরুষরা দক্ষ হাতে সামলান। বিশ্ব পুরুষ দিবস তাই তাঁদের সম্মান জানাতেই পালিত হয়। ১৯ নভেম্বর এই দিনটি সারা বিশ্বেই পালিত হয়। তাঁদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি পুরুষদের অধিকার নিয়ে সচেতনতাও বাড়ানো হয়। এছাড়া তাদের স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতনতা বাড়ানোর দিন হল ১৯ নভেম্বর।
শরীর সুস্থ রাখতে চাই ভালো খাওয়াদাওয়া। কিন্তু প্রতিদিনের কাজের চাপে খাওয়াদাওয়ার ঠিক থাকে না। এমনকি ডায়েটেও রোজ স্বাস্থ্যকর খাবার থাকে না। এর ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে রোগের সংখ্যা।
যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অঞ্জলিকা আত্রে এইচটি লাইফস্টাইলকে বেশ কয়েকটি খাবারের কথা জানাচ্ছেন। এগুলো খেলে বয়স বাড়লেও পুরুষদের শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। পাশাপাশি তাদের সহজে কোনও রোগ ছুঁতে পারবে না। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার ডায়েটে রাখা উচিত।
১. আমন্ড: ত্বক ও পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমন্ডের জুড়ি মেলা ভার। আমন্ডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। এছাড়াও এতে থাকা ফাইবার, ভিটামিন ই, প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। সকালে অফিস যাওয়ার আগে আমন্ডের মাখন দিয়ে পাঁউরুটি খাওয়াই যায়।
২. পালং শাক: পালং শাকের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও ক্যারোটিন। ক্যারোটিন দৃষ্টি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তোলে। পাশাপাশি এতে থাকা ফোলেট যৌনক্ষমতা বাড়াতেও প্রধান ভূমিকা নেয়।
৩. ব্রকোলি: ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও আয়রনে সমৃদ্ধ এই খাবার রক্ত চলাচল ভালো করে। একইসঙ্গে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ব্রকলি দুপুর বা রাতের খাবারের সঙ্গে একটি পদ হিসেবে খাওয়াই যায়।
৪. বেরিফল: বেরিফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সারাদিন কাজের চাপে শরীরে তৈরি হয় স্ট্রেস। বেরি ফল এই স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
৫. ওটস: ওটসের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এর ফলে রক্তচাপ ও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে যৌনক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই খাবার।
৬. তরমুজ: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা। তরমুজের মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন নামক পুষ্টি উপাদান। এই লাইকোপেন প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়।