বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > International Tea Day: বেঁচে থাকা স্রেফ এক কাপ চায়ের জন্য

International Tea Day: বেঁচে থাকা স্রেফ এক কাপ চায়ের জন্য

আন্তর্জাতিক চা দিবসে কাদের কথা ভুললে চলবে না?

চা শিল্প এমন একটি শিল্প যেখানে সামাজিক এবং ঐতিহাসিক দিক থেকে মহিলারা যুক্ত রয়েছেন। খাস বাংলার উত্তরবঙ্গের চা বাগানের রুগ্ন, অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা মহিলারা নিরন্তর খেটে যান বাগানে।

রণবীর ভট্টাচার্য

বাঙালির কাছে চা স্রেফ পানীয় নয়, চা একটি খাবার, খাবারের পদ। ইতিহাস দেখেছে কীভাবে চিন থেকে চা জনপ্রিয় হয়েছে। তারপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বুদ্ধিতে ভারতেও চায়ের রমরমা শুরু হয়। আর আজ তো, একের পর এক চা বাগান কিনে নিয়েছে বিত্তবানরা। পাড়ার দোকানের সস্তা চা যেমন আছে, তেমন রয়েছে ঝা চকচকে মলের টিনের কৌটোর দামী চা। মোড়ের মাথার তিন টাকার ভাঁড়ের চা আর পাঁচতারা হোটেলের কয়েকশো টাকার চা - জায়গা বদলায়, তাপমাত্রা বদলায় আর পরিবর্তন হয় সঙ্গী। কিন্তু বাস্তবিক, চা দিয়ে যায় চেনা! শনিবার আন্তর্জাতিক চা দিবসে ফিরে দেখা চায়ের ঐতিহ্য, যেখানে ভারতের মতো দেশ বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারের ক্ষেত্রে চায়ের রপ্তানির উপর বেশ নির্ভর করে।

চা না কফি? কোভিড পূর্ববর্তী বাঙালি বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গেলে অবধারিত ভাবে এই প্রশ্নই উঠে আসত। আর উত্তর যদি চা হয়, তাহলে পরের প্রশ্ন নিঃসন্দেহে লিকার না দুধ চা! এখন অবশ্য ঠান্ডা পানীয় অনেক জায়গায় পাল্লা দেয় একটু আধটু, বিশেষ করে ঘেমে যাওয়ার গরম কালে। তবে উপমহাদেশে চায়ের কাছে চিরকাল হেরেই এসেছে কফি। কফি সবসময়েই একটু উচ্চবিত্তের ছোঁয়া পেয়ে এসেছে। সেখানে চায়ের ব্যাপ্তি বিরাট। তবে চায়ের একটি সামাজিক সত্যি কোথাও রয়েছে, যা অনেক সময়েই এড়িয়ে যাওয়া হয়। আজও আমাদের দেশের দিনমজুরেরা যদি কোনদিন কাজের বরাত না পায়, তাহলে নিজের অল্প সম্বল দিয়ে চা কিনে খায়। তাতে তখনকার মত ক্ষিদে মেটে আর ভাতের ক্ষিদে যেন পিছিয়ে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য। ক্ষুধার রাজ্যে কবিতা গদ্যময় হোক না হোক, চা-ময় তো বটেই! তাই লোকাল বা দূরপাল্লার ট্রেন কিম্বা মেলার ভিড় বা বাস টার্মিনাস - চা পাওয়া যাবে না হতে পারে না কোনমতেই।

তবে কালো লিকার চায়ের মতো চা শিল্পের অন্ধকার ভুলে যাওয়ার নয়। চা শিল্প এমন একটি শিল্প যেখানে সামাজিক এবং ঐতিহাসিক দিক থেকে মহিলারা যুক্ত রয়েছেন। খাস বাংলার উত্তরবঙ্গের চা বাগানের রুগ্ন, অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা মহিলারা নিরন্তর খেটে যান বাগানে। চা বাগানের মালিকেরা গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা জমান চা রপ্তানি করে আর চা বাগানের মহিলারা সমস্যায় জেরবার। অনেকেই আবার বিড়ি শিল্পে যোগ দিয়েছেন। চা শিল্পের এই কঠিন বাস্তব মন খারাপ করে দেওয়ার মত। তাই পরেরবার যখন চায়ের কাপে তুফান তুলবেন, একবার অন্তত মনে করবেন সেই মানুষগুলোর কথা যারা এক বেলা খেয়ে আপনার জন্য চায়ের পাতা নিয়ে এসেছে।

হয়তো সত্যি এটাই, যে বেঁচে থাকা স্রেফ এক কাপ চায়ের জন্য!

টুকিটাকি খবর

Latest News

১৮ বছরে পা রাখল হৃতিকের বড় ছেলে, বিশেষ পার্টির আয়োজনে কী কী করলেন সুজান-সাবা সতীশ কৌশিক আর নেই, মুক্তি পেল 'পাটনা শুক্লা', বন্ধুকে নিয়ে আবেগতাড়িত সলমন মোদী নাকি মমতা, কে বড় 'একনায়ক'? বাউন্সারের সামনে পড়ে যা বললেন PK ভয়ে কুঁকড়ে থাকতে রাজি নন, আরসিবির মোকাবিলা করার আগে তাণ্ডবের ইঙ্গিত দিলেন রাসেল 'এটা করা যায় না… ৬ মাসে…', এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের পক্ষে বড় রায় আদালতের মীন রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ২৯ মার্চের রাশিফল কুম্ভ রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ২৯ মার্চের রাশিফল প্রথম দফায় সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী, মোতায়েন নিয়ে অনিশ্চিত নির্বাচন কমিশন মকর রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ২৯ মার্চের রাশিফল ধনু রাশির আজকের দিন কেমন যাবে? জানুন ২৯ মার্চের রাশিফল

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.