বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা আসবেই। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান হিসেবে ওষুধকে বেছে না নিয়ে যোগাসনের সাহায্য নিতে পারেন। তাই আন্তর্জাতিক যোগা দিবসে আপনার বাড়ির বয়ষ্ক মানুষগুলোর জন্য ৫টি যোগা। বয়স বাড়ার ফলে অনেকেরই মেটাবলিজম কমে যায়। ফলে ওজন বেড়ে যায়। এবং ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ক্যানসরের মতো রোগ দেখা দিতে পারে। বেশ কিছু যোগা হাঁটুর ব্যথা, আর্থারাইটিসের মতো সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে।
তদাসন
সোজা হয়ে দাঁড়ান। আপনার দুই পায়ের বুড়ো আঙুল ও গোড়ালি একে অপরের সঙ্গে যেন জুড়ে থাকে। এবার পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে শরীর সামান্য ওপরে ওঠান। হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার ওপর ওঠানো থাকবে। এভাবে ১০-১৫ সেকেন্ড থেকে আবার আগের পজিশনে ফিরে আসুন।
উপকারিতা: এটি চিন্তামুক্ত রাখে। শরীরের পশ্চারকে সঠিক রাখতে সাহায্য করে।

বৃক্ষাসন
সোজা হয়ে দাঁড়া। হাত শরীরের দু' পাশে রাখুন। এবার নীচের ছবির মতো পা ভাজ করে অপ পায়ের থাইয়ের পাশে রাখুন। পাত সামনে এনে জোর হাত করে নমস্কারের ভঙ্গিতে সোজা হয়ে দাঁড়ান। প্রথমে ডান পা ও পরে বাঁ পা তুলে আসন করুন।
উপকারিতা: এটি পায়ের মামসপেশীকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে। হাঁটু সচল রাখে এবং কাঁধের সমস্যাও দূর করে।

ভূজাঙ্গাসন
ভুজঙ্গ অর্থ সাপ। সাপের ফনার মতো দেখতে লাগে বলে আসনটির নাম ভুজঙ্গাসন।প্রথম দিকে পা জোড় অবস্থায় আসনটি না করতে পারলে পা দুটো সুবিধা মতো ফাঁক করে অভ্যেস করতে পারেন।
উপকারিতা: এই আসলের ফলে আপনার পিঠের মাংসপেশিতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। হজমের সমস্যা দূর হয়। এবং এটি আপনার লিভার ও কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

বজ্রাসন
প্রথমে কোন সমতল জায়গায় হাঁটু মুড়ে পেছন দিকে নিয়ে বসুন। হাঁটু একটির সাথে আরেকটি লেগে থাকবে এবং পায়ের গোড়ালির ওপরে আপনার নিতম্ব থাকবে। দুই হাতের তালু হাঁটুর দিকে ঘুরিয়ে হাঁটুর ওপরে সোজা করে রাখুন। পুরো শরীর টানটান রেখে দুই-তিন মিনিট এই অবস্থায় স্থির হয়ে বসে থাকুন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখবেন।
উপকারিতা: এই আসনও হজমে সাহায্য করে। এটাই একমাত্র আসন যা আপনি খাওয়ার পর করতে পারবেন। সঙ্গে শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণ করে স্থির থাকতে সাহায্য করে।

তবে, এই ৪ আসন করার সময়তেই শরীরের ওপর জোর দেওয়া যাবে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যত শরীর নমনীয় হবে তত যোগাসনের পশ্চার পারফেক্ট হবে। সঙ্গে যোগাসন শুরু করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।