চিকিৎসক হোক বা পুষ্টিবিদ, জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন সকলেই। কিন্তু জাঙ্ক ফুড এবং ঝাল মশলাদার খাবার কিন্তু এক কথা নয়। এই দুটি খাবারের মধ্যে যে ন্যূনতম পার্থক্য আছে, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। ঝাল মশলাদার খাবার খাওয়া শরীরের পক্ষে আদৌ প্রয়োজনীয় কিনা, জানালেন পুষ্টিবিদ শ্যালা ক্যাডোগান।
প্রত্যেক মানুষের মনের মধ্যেই এটি স্বচ্ছ ধারণা থাকে। বাড়ির মশলাবিহীন খাবার শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারী। তেল ঝাল মশলা বিহীন সেদ্ধ খাবার খেলে তবেই শরীর ভালো থাকে, তা ডিম হোক বা সবজি। এমনকি ফিটনেস ট্রেনাররাও মশলা বিহীন খাবার খাওয়ার কথা বলেন বারবার।
(আরও পড়ুন: বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন… দেখুন মুচমুচে ওটস এবং বাদাম কুকিজের রেসিপি)
সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পুষ্টিবিদ শ্যালা ক্যাডোগান বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত লঙ্কা খাওয়ার চ্যালেঞ্জের ভিডিয়ো দেখা যায়, সেগুলি যদি ভালো করে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যারা প্রচুর পরিমাণে লঙ্কা খায় বা ঝাল খাবার খায় তাদের চোখমুখ লাল হয়ে যায়। এটি কিন্তু শারীরিক যন্ত্রণার লক্ষণ। গুরুত্ব না দিলে এটি পরবর্তীকালে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।’
ওই পুষ্টিবিদ আরও বলেন, ‘ঝাল মশলাদার খাবার খাওয়া প্রয়োজন অবশ্যই কিন্তু আপনি কতটা লঙ্কা বা মশলা খেতে পারবেন সেটি ঠিক করাও আপনার দায়িত্ব। অতিরিক্ত মশলা বা লঙ্কা খাবারের মধ্যে দিলে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু লঙ্কা এমন আছে যা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।’
(আরও পড়ুন: মিষ্টি খাওয়ালে তবেই দাখিল হবে রিপোর্ট, পুলিশের অদ্ভুত দাবিতে হতচকিত যুবক)
সবশেষে তিনি বলেন, ‘মশলাদার খাবার কখনওই অস্বাস্থ্যকর নয়। তবে কতটা আপনি মশলা বা ঝাল দেবেন সেটির উপর নির্ভর করবে সেটি অস্বাস্থ্যকর হচ্ছে কিনা। মশলাদার খাবার খাওয়ার পর আপনার শরীরের যদি কোনও অস্বস্তি না হয়, তাহলে সেটি কোনওভাবেই অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় না। ’