বড় বড় শিল্পপতি থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্পী, কাজের সূত্রে ব্যস্ত থাকেন সকলেই আর তাই পরিবারের খুদে সদস্যদের সামলাতে হয় ন্যানিদের। এই ন্যানিরা কিন্তু বাচ্চা প্রতি পালনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা নয়, শিক্ষার দিক থেকেও এই মহিলারা থাকেন অনেক বেশি এগিয়ে। তারকা সন্তানদের ন্যানিদের মধ্যে সবথেকে পরিচিত যিনি, তিনি হলেন ললিতা ডি সিলভা।
ললিতা সাইফ আলী খান এবং করিনা কাপুর খানের দুই সন্তানকেই দেখাশোনা করেন। তবে শুধু তৈমুর বা জাহাঙ্গীর নয়, ললিতা মুকেশ আম্বানির ছোট সন্তান অনন্ত আম্বানিকেও মানুষ করেছিলেন। সম্প্রতি অনন্ত আম্বানির বিয়ের সময় এই খবরটি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন অনন্তর বিয়েতে আমন্ত্রণ পান ললিতা। অনন্তকে ভালোবাসা জানিয়ে ললিতা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন যেখানে দেখা যায়, ছোট অনন্ত মাঝ বয়সী ললিতার হাত ধরে হাঁটছে প্যারিসের ডিজনি ওয়ার্ল্ডে।
(আরও পড়ুন: বাড়ির বয়স্কদের রোবট মনে করিয়ে দেবে ওষুধের সময়! যুগান্তকারী আবিষ্কার যুবকের)
এহেন ললিতাকে যখন প্রশ্ন করা হয় সন্তান প্রতিপালনের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে, তখন ললিতা বলেন,'সেলিব্রেটি শিশু এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তারকারা নিজেদের সন্তানদের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল হন, তবে সময়ের অভাবে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানো হয়ে ওঠে না তাঁদের।
সন্তানদের ঠিক কীভাবে মানুষ করা উচিত এই প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ‘সবার আগে মনে রাখতে হবে আপনার কাছে আপনার সন্তান যেমন সবকিছু তেমন আপনার সন্তানের কাছে আপনি পুরো পৃথিবী। বাইরের জগতে যতই সমস্যা থাকুক না কেন তা বাইরে রেখে তবে বাড়ি ফেরা উচিত। সন্তানদের সঙ্গে খেলা করা এবং গল্প করার মাধ্যমেই তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত।’
মোবাইল ফোন সম্পর্কে ললিতা বলেন, 'এখনকার ছেলেমেয়েরা ছোট বয়সেই সবকিছু শিখে যায়। পড়াশুনা সংক্রান্ত কোনও বিষয় হলে অবশ্যই মোবাইল হাতে দেওয়া উচিত কিন্তু গেম খেলার জন্য মোবাইল হাতে দেওয়া উচিত নয়। অন্যদিকে সন্তানদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া উচিত কিনা জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, যদি শিক্ষামূলক খেলার জন্য সন্তান টাকা চায় তাহলে দেওয়া উচিত কিন্তু সন্তানরা টাকা ঠিক কোথায় খরচ করছে তা দেখাও আপনার কাজ।'
(আরও পড়ুন: বাচ্চাদের লাঞ্চ বক্সে দিন হরেক রকম সবজি, সহজে বানান ফেলুন এই ভেজি প্যাকড র্যাপ)
ললিতা মনে করেন, 'পারিবারিক শিক্ষা এবং সংস্কৃতি সন্তানকে শেখানো জরুরী, তবে এর মানে এই নয় কট্টর ধর্মীয় অনুশাসনে তাদের শিক্ষিত করতে হবে। সন্তানদের খারাপ লাগা, ভয়, চিন্তা সবকিছুই অভিভাবকদেরই দূর করতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সময় কাটালে তবেই আদর্শ পিতা-মাতা হওয়া সম্ভব।'