শীত মৌসুম শুরু হলেই বাজারে আসতে শুরু করে সবুজ শাকসবজি। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ আমলাকে তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে, লোকেরা এর রস, আচার, জাম, চাটনি, শাকসবজি এবং স্টাফ পরাঠা ইত্যাদি তৈরি করে। তবে বেশিরভাগ মানুষই আমলা জুস খেতে পছন্দ করেন। আপনার খাদ্যতালিকায় নিয়মিত আমলার জুস অন্তর্ভুক্ত করার অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে এটি তৈরি করা সহজ নয়। বিশেষ করে ঘরে জুস মেশিন না থাকলে তাজা আমলা জুস পান করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হয়। আপনিও যদি জুসার না থাকার কারণে আমলা জুস পান করতে না পারেন, তাহলে এই আশ্চর্যজনক কৌশলটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।
জুসার ছাড়া কিভাবে আমলার রস বের করবেন
যদি আপনার বাড়িতে জুসার না থাকে এবং আপনি তাজা আমলা জুস তৈরি করতে চান, তাহলে এই কৌশলটি আপনার জন্য খুব কার্যকর হতে পারে। এর জন্য প্রথমে তাজা এবং হালকা সবুজ রঙের ঘন এবং রসালো গুজবেরি নির্বাচন করুন। এগুলোর মধ্যে ভালো পরিমাণে রস পাওয়া যায়। সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার তাদের জুস বানানোর পালা। এই জন্য, একটি grater নিন এবং সব গুজবেরি সূক্ষ্মভাবে গ্রেট করুন। এক গ্লাস রসের জন্য প্রায় দুটি গুজবেরি যথেষ্ট হবে।
যখন আপনার গুজবেরিগুলি ভালভাবে গ্রেট করা হয়, তখন এই সূক্ষ্ম টুকরোগুলি এক গ্লাস জলে যোগ করুন। এর জন্য কাচের পাত্র ব্যবহার করা ভালো হবে। এবার এভাবে প্রায় তিন ঘণ্টা রেখে দিন। এটির সাহায্যে আমলার সমস্ত বৈশিষ্ট্য আপনার জলে ভালভাবে শোষিত হবে। এবার এই পানি ভালো করে ছেঁকে নিন, এক চিমটি কালো লবণ ও কালো মরিচ মিশিয়ে পান করুন। আপনার তাজা আমলা জুস প্রস্তুত। বাকি আমলা গুঁড়ো ফেলে দেবেন না কারণ আপনি এটি আবার ব্যবহার করতে পারেন। এই করাতের সাহায্যে প্রায় দুই থেকে তিনবার তাজা আমলার রস তৈরি করা যায়।
আমলা জুস পানের উপকারিতা
আমলার রস অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রনের মতো অনেক পুষ্টি উপাদান এতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। প্রতিদিন এটি খেলে ত্বক ও চুলের অবস্থার উন্নতি হয়। এর পাশাপাশি এটি হার্টের স্বাস্থ্য, কোলেস্টেরল, চিনি, স্থূলতা ইত্যাদি ব্যবস্থাপনায়ও খুবই উপকারী। নিয়মিত আমলার রস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।