মঙ্গলবারই জয়পুরের একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন জেডি ভান্স। এবার কথায় কথায় তাঁর ছেলের বলা কথাও সর্বসমক্ষে বললেন জেডি ভান্স। সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতে সপরিবার নিমন্ত্রণ ছিল তাঁর। স্ত্রী উষা ভান্স ও তিন সন্তানকে নিয়ে জেডি পৌঁছে গিয়েছিলেন ৭ লোককল্যাণ মার্গে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য আতিথেয়তার অভিজ্ঞতা হয় তাঁদের। আতিথেয়তায় আপ্লুত হয়ে জে ডি ভান্সের বড় ছেলে নাকি বলেই ফেলে, ‘আমি যদি ভারতে থাকতে পারতাম!’
আরও পড়ুন – JD Vance Wife: অন্ধ্রে উষা ভান্সের পৈতৃক বাড়িতে হঠাৎ হাজির রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা, কী ঘটল এমন?
হেসে ওঠেন দর্শকরা
জেডি ভান্সের বড় ছেলের নাম ইয়ান। সাত বছর বয়সি ইয়ানসহ তিন খুদের সঙ্গেই নাকি বেশ ভালো কথাবার্তা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। জেডির কথাতেও এই দিন উঠে এল তার রেশ। এই দিন জয়পুরের ওই সমাবেশে তিনি বলেন, সোমবার সন্ধেতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে খাবারের আয়োজন বেশ ভালো ছিল। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর সন্তানদের সঙ্গেও নাকি বেশ ভালোভাবে কথা বলেছেন, সময় কাটিয়েছেন। আর এর ফলস্বরূপই ওই কথাটি বলে জেডির সাত বছরের সন্তান ইয়ান। তবে সেই কথাটি কিছুটা হালকা চালেই বলেন জেডি। যার দরুণ উপস্থিত দর্শকরা হেসে ওঠেন।
একটু খামখেয়ালিও…
তবে তাঁর ছেলে যে একটু খামখেয়ালি, সে কথাও তিনি বুঝিয়ে দেন এর পরের কথায়। তিনি বলেন, ইয়ানের মন বদলাতে খুব বেশি সময় লাগে না। বিশেষ করে জয়পুরের এই গরমে থাকার পর সে নাকি বলতেই পারে, এবার ইংল্যান্ড চলে যাওয়া উচিত আমাদের! এই কথা বলার পরেও দর্শকরা হাসেন বিষয়টা শুনে।
আরও পড়ুন – Refrigerator Tips: সারাদিন ফ্রিজ চালিয়ে রেখেছেন? দিনে কবার কতক্ষণ চালু রাখলে বিল বাঁচে জেনে নিন
উষার পৈতৃক বাড়িতে হানা
প্রসঙ্গত, জেডি ভান্সের সফর শুরু হতে না হতেই ভারত সরকারের রাজস্ব দফতরের কিছু আধিকারিক জেডির স্ত্রী উষার পৈতৃক বাড়িতে হানা দেন। ভাইজ্যাগে উষার ঠাকুমা সানথামা থাকেন বর্তমানে। সেখানে গিয়ে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁদের সঙ্গে উষার সম্পর্ক কীরকম ইত্যাদি বিষয়ে। তবে ঠাকুমার কথায়, তিনি ওঁদের কাছ থেকেই জানতে পারেন, উষা দেশে সফরে আসছেন। বর্তমানে উষা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেকেন্ড লেডি বলেও যথেষ্ট গর্বিত সানথামা।