‘মায়ের চিন্ময়ী রূপকে মৃন্ময়ী রূপদান করতে এবছর সফল হতে পারিনি।’
চন্দননগরের সেরা পুজোগুলির মধ্যে অন্য়তম বিখ্য়াত পুজোটি হল বাগবাজার সর্বজনীনের পুজো। প্রতিবারই এই পুজোর টানে হাজার হাজার ভক্তের ঢল নামে। কিন্তু জগদ্ধাত্রী প্রতিমার মুখমণ্ডল নিয়ে এই বছর যথেষ্ট অসন্তোষ জেগে উঠল ভক্তদের মনে। প্রতিমা তৈরির নানা ধাপের আপডেট পুজো কমিটি তাদের ফেসবুক পেজে দিচ্ছিলেন কয়েকদিন ধরেই। সেগুলির কমেন্ট সেকশনে ধরা পড়ে ভক্তদের অসন্তোষ। প্রতিমার মুখমণ্ডল দেখে অনেকেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি। পুরোনো আদলের মুখমণ্ডল ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছেন অনেকে।
প্রতিমার মুখের আদল নিয়ে অসন্তোষ
মা তো মা-ই হন। সে তার মুখের বা গোটা দেহের আদল যেভাবেই বানানো হোক না কেন। ঠিক এই কথাই স্বীকার করে নিচ্ছেন ভক্তেরা। কিন্তু পাশাপাশি তুল্যমূল্য়ের বিচারে এগিয়ে রাখছেন পুরোনো প্রতিমার মুখমণ্ডলকেই। শিল্পী অনুপ পাল মূর্তিশিল্পী ছিলেন সেই সময়। তাঁকে ফিরিয়ে আনার অনুরোধও করেন অনেকে। পাশাপাশি কমেন্ট সেকশনে অনেককে লেখেন, নতুন শিল্পীর কাজে প্রচুর ভুল হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকেই অতৃপ্ত। এক নেটিজেন লেখেন, থিম ঠিকঠাক থাকলেও জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দেখে মনখারাপ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন - জগদ্ধাত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরের ব্য়তিক্রম! চারদিনি মায়ের টানে এবারও ভিড় বাঁধভাঙা
শিল্পীর দায় — কমিটির বিজ্ঞপ্তি
গোটা ঘটনার অসন্তোষ সামাল দিতে পুজো কমিটির তরফে বৃহস্পতিবার দায় স্বীকার করে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পুজো কমিটি লিখেছে, বাগবাজার সর্বজনীন পুজো কমিটির স্বীকার করতে বাধা নেই যে মায়ের চিন্ময়ী রূপকে মৃন্ময়ী রূপদান করতে এবছর সফল হতে পারিনি। তবে এই অসফলতার কারণ আর্থিক কার্পণ্য বা কমিটির অবহেলা নয় বলে জানান পুজো উদ্যোক্তা। তাদের কথায়, ‘মূর্তি বানান মৃৎশিল্পী। শিল্পীর শৈল্পিক সত্ত্বার উপর আমরা আস্থা রেখেছিলাম। শিল্পীর শৈল্পিক নৈপুণ্য় তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম ধরে রাখতে পারে না অনেকক্ষেত্রেই…’।
আরও পড়ুন - সাপের কামড়ে কমবে মৃত্যু, কলকাতা মেডিক্যালে ট্রায়াল নতুন ওষুধের
‘কমিটি দায় এড়াতে পারে না’
পুজো কমিটির এই পোস্ট নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। নেটিজেনদের অনেকেই এসে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন কমিটির বিরুদ্ধে। যেমন একজনের কথায়, নতুন শিল্পীকে সবসময় অভিজ্ঞ শিল্পীর তত্ত্বাবধানে কাজ করতে বলা উচিত। অন্য আরেকজনের কথায়, প্রতিমা তৈরির সময় যখন খড় বাঁধা হচ্ছিল, তখন কমিটি কী করছিল। তবে এসব কিছুর বাইরে গিয়ে অনেকেই আবার পছন্দ করেছেন নতুন ধরনের প্রতিমাটিকে। সে কথাও কমেন্টে জানিয়েছেন অনেকে।