Jagaddhatri Puja 2024: শোলার সাজে ফুটে উঠছে একের পর এক থিম। কখনও সেই থিমের পুরাণের কথা বলে, কখনও আবার বলে আধুনিক দিনযাপনের কথা। বাঙালির ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে চন্দননগর। কারণ এখানেই আয়োজিত হয় বিশাল করে জগদ্ধাত্রী পুজো। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোকসজ্জা প্রতিবারই নজর কাড়ে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীদের। তবে এর পাশাপাশি থিমের সাজেও অন্যদের টেক্কা দিচ্ছে চন্দননগর (Jagaddhatri Puja 2024 In Chandannagar)।
আরও পড়ুন - লরেন্স বিষ্ণোই নাকি রিয়েল হিরো! টি-শার্টের লেখায় ফাঁসল Meesho, কী সাফাই সংস্থার
ভদ্রেশ্বর, মানকুণ্ডু, চন্দননগর মিলিয়ে কমবেশি ২৫০টি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। এর মধ্যে প্রায় ১৭০টি পুজো কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির অধীনে। কমিটির উদ্যোক্তাদের কথায়, গত কয়েক বছর ধরেই চন্দননগরের পুজোয় থিমের গুরুত্ব বাড়ছে। পাশাপাশি শোলার অভিনব কাজের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে অসাধারণ সব থিম। শোলার নিত্যনতুন অভিনব ব্যবহার যেমন দর্শকদের চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে, তেমনই মন মাতাচ্ছে পুজো উদ্যোক্তাদের।
আরও পড়ুন - চোখের জলে বিদায় নিলেন নৈহাটির বড়মা! লক্ষ ভক্তের সমাগমে আবেগঘন মুহূর্ত
পুজো কমিটির এক উদ্যোক্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, থিমের মধ্যে কখনও ফুটে উঠছে মহিষাসুরমর্দিনী, কখনও আবার মহাভারতের রামায়ণের কাহিনি। কবে থেকে থিমের এত কারিকুরি দেখা দিতে শুরু করল জগদ্ধাত্রী পুজোয়? এই প্রসঙ্গে পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন ২০২১ সালের কথা। করোনার জন্য শোভাযাত্রা বন্ধ হওয়ায় থিমের পিছনে বিভিন্ন কমিটিগুলি খরচ বাড়াতে আরম্ভ করল। তখন থেকেই দেখা গেল থিমের বৈচিত্র্য মানুষকে আকর্ষণ করছে। যা আরও বেশি করে উৎসাহ জোগাতে শুরু করে উদ্যোক্তাদের।
২০২১ সালের পর থেকে আলোর পাশাপাশি থিমও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দেখা দিতে শুরু করল। বর্তমানে দর্শকদের মধ্যে একটি প্রত্যাশাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। আলোর চোখধাঁধানো কাজ দেখার পাশাপাশি তারা থিম নিয়েও বিভিন্ন পুজোমণ্ডপগুলির কাছে একটি প্রত্যাশা রাখেন। যেমন বাগবাজার চৌমাথা সর্বজনীনে এবারের থিম হয়েছে রাশিচক্রের উপর ভিত্তি করে। আবার লালবাজার জগদ্ধাত্রী পুজোর থিমের সাজেও রয়েছে চমক। আলোর পাশাপাশি থিমের এই কাজ দর্শকদের আরও বেশি মুগ্ধ করছে বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি তাদের কথায়, গত পাঁচ বছরে থিমের জেরে জগদ্ধাত্রী পুজো আলাদা মাত্রা পেয়েছে চন্দননগরে।