তিথি একদিকে পড়েছে রবিবার তাও আবার অনুষ্ঠানের নাম জামাইষষ্ঠী! ৫ জুন জামাইষষ্ঠী ঘিরে উদযাপনের রেশ বাংলা জুড়ে। জ্যৈষ্ঠ মাসে মূলত ষষ্ঠীদেবীর পূজা ঘিরেই সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই পার্বণ আয়োজিত হয় বাঙালির ঘরে। আর জামাইকে আদরে বরণ করে নিতে সকল শাশুড়িমায়েরাই নিজের মতো করে আয়োজন করেন আসরের। একনজরে দেখে নেওয়া যাক জামাইষষ্ঠী ঘিরে কোন ইতিহাস, রীতি প্রচলিত।
জামাইষষ্ঠীর লোককথা
লোককথায় শোনা যায়, একবার জনৈক গৃহবধূ একবার স্বামীগৃহে মাছ চুরি করে তার দোষ আরোপ করে দিয়েছিলেন বিড়ালের ওপর। এদিকে বিড়াল ষষ্ঠী দেবীর বাহন। আর এই ঘটনার পরই ওই গৃহবধূর সন্তান হারিয়ে যায়। এরপর সেই গৃহবধূ জঙ্গলে গিয়ে এক মনে ষষ্ঠীদেবীর পুজো করেন আর ফিরে পান সন্তানকে। সেই থেকে ষষ্ঠীদেবীর অপর নাম অরণ্যষষ্ঠী। এদিকে মাছ চুরির দায়ে ওই গৃহবধূকে তাঁর বাবা মায়ের কাছে যাওয়া থেকে বিরত করেন তাঁর শ্বশুরালয়ের সদস্যরা। সেই শুনে গৃহবধূর বাপের বাড়িতে আয়োজন হয় ষষ্ঠীপুজোর। আর সেই পুজো উপলক্ষ্যে আমন্ত্রণ করা হয় জামাই মেয়েকেও! সেই থেকে এই অনুষ্ঠান জামাইষষ্ঠী নামে পরিচিত বলে শোনা যায়। পাবেন উপহার, রয়েছে ভ্রমণের যোগ, বাড়বে বন্ধুত্ব! রাশিফলে জানুন ভাগ্যবান কারা?
জামাইষষ্ঠীর রীতি
এই বিশেষ পার্বণের দিন জামাইয়ের হাতে লাগানো হয় হলুদ মাখানো সুঁতো। এতে করা হয় মঙ্গল কামনা। মা ষষ্ঠীর আশীর্বাদ রূপে তেল হলুদের ফোঁটা লাগানো হয় জামাইকে। থালা সাজিয়ে পাঁচটি বিভিন্ন রকমের ফল দেওয়া হয়। করা হয় ধান দুর্বা দিয়ে আশীর্বাদ। সঙ্গে জামাই খেতে বসলে করা হয় তাল পাতার পাখা দিয়ে হাওয়া। এরপর শুরু হয় শাশুড়ির হাতের পঞ্চব্যাঞ্জন রান্নার পদ খাওয়ার পালা।