বাংলার লৌকিক দেবদেবীর অন্যতম হলেন মা ষষ্ঠী। প্রচলিত রয়েছে যে, তাঁর কৃপায় বন্ধ্যা রমণীর কোলে সন্তান আসে। কালে কালে সেই মা ষষ্ঠীর পুজোর সঙ্গেই জড়িয়ে গিয়েছে জামাই-আদরের পরম্পরা। প্রসঙ্গত, সারা বছর আরও বেশ কিছু ষষ্ঠী তিথি পালন করা হয়। তবে সবথেকে জনপ্রিয় হল দুর্গা ষষ্ঠী এবং অরণ্যষষ্ঠী বা জামাইষষ্ঠী। জ্যৈষ্ঠ মাসে শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিকেই জামাইকে আপ্যায়নের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। মনে করা হয়, শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের দিনগুলো যাতে মসৃণ হয়, সেই ভাবনা থেকেই জামাইবরণ। তবে এর পাশাপাশি অন্য একটি কাহিনিও প্রচলিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন ময়লা জমে ফোনের কোনায়? ৫ জিনিস দিয়ে মুছেই দেখুন! একেবারে ঝকঝক করবে
আরও পড়ুন: এই কাজগুলি করে হাত ধোয়ার অভ্যাস নেই? বড় রোগ হতে পারে যে কোনও সময়
কথিত আছে — এক পরিবারে দুটি বউ ছিল ৷ তার মধ্যে ছোট বউটি ছিল খুব লোভী ৷ মাছ বা অন্যান্য ভাল খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে অভিযোগ করত ‘সব কালো বেড়ালে খেয়ে নিয়েছে’৷ এদিকে বেড়াল মা ষষ্ঠীর বাহন ৷ সে মা ষষ্ঠীর কাছে অভিযোগ জানাতেই মা রেগে গেলেন ৷ এর জেরে ছোট বউ-এর একটি করে সন্তান হলেই মা ষষ্ঠী তার প্রাণ হরণ করতেন ৷ এইভাবে ছোট বউয়ের সাত পুত্র ও এক কন্যার প্রাণ মা ষষ্ঠী হরণ করে নেন ৷ ফলে স্বামী, শাশুড়ি ও অন্যান্যরা মিলে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় ৷
ছোট বউ মনের দুঃখে বনে চলে যান ৷ শেষে মা ষষ্ঠী বৃদ্ধার ছদ্মবেশে তার কাছে এসে কান্নার কারণ জানতে চান ৷ সে তার দুঃখের কথা মাকে জানায় ৷ তখন মা ষষ্ঠী আগের অন্যায় আচরণের কথা মনে করিয়ে দিলে সে মাফ চায় ৷ ষষ্ঠী তাকে ক্ষমা করেন| এরপর বলেন — ভক্তিভরে ষষ্ঠীর পুজো করলে সে সাতপুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে ৷ ছোট বউ তখন সংসারে ফিরে ঘটা করে মা ষষ্ঠীর পুজো করে। ক্রমে একে একে তার পুত্র কন্যাদের ফিরে পায় ৷ এভাবেই দিকে দিকে ষষ্ঠী পুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে ৷ জামাইষষ্ঠী বা অরণ্যষষ্ঠী ব্রতকথার মূল গল্প এটাই৷
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup