নববর্ষের পর যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাঙালিরা আরো একবার মেতে ওঠেন আনন্দে, সেই অনুষ্ঠানটির নাম হল জামাইষষ্ঠী। যদিও এই অনুষ্ঠানটি সকলের জন্য নয়। এই দিন শুধুমাত্র শাশুড়ি মায়েরা জামাই-এর মঙ্গল কামনায় ব্রত করেন। মূলত শাশুড়ি এবং জামাইয়ের ভালোবাসার আদান-প্রদানের মাধ্যমেই অনুষ্ঠিত হয় জামাইষষ্ঠী।
জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের পছন্দের সমস্ত রান্না করে রাখেন শাশুড়ি মায়েরা। মাংস থেকে শুরু করে ইলিশ মাছ, পাঁচ রকম ভাজা থেকে শুরু করে দই, আয়োজনে কোনও রকম খামতি রাখেন না শ্বশুরবাড়ির কেউই। তবে আপনার জামাই যদি চিংড়ি মাছ খেতে ভালোবাসে, তাহলে এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র আপনার জন্য। আজ এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানানো হবে গলদা চিংড়ি ভুনা তৈরি করার একটি অনবদ্য রেসিপি।
(আরও পড়ুন: সব তরকারিতেই ব্যবহার করেন ধনেপাতা! জানেন এটি রোজ খেলে কী হয়)
গলদা চিংড়ি ভুনা রান্না করার উপকরণ:
৫ থেকে ৭ টি গলদা চিংড়ি, পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরে বাটা, সরষে বাটা, পোস্ত বাটা, কাজুবাদাম বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, টক দই, টমেটো কুচি, কাঁচালঙ্কা, পরিমাণ মতো তেল স্বাদমতো নুন এবং চিনি।
গলদা চিংড়ি ভুনা রান্না করার পদ্ধতি:
প্রথমে বাজার থেকে চিংড়ি মাছগুলি কিনে এনে ভালো করে ধুয়ে খোসা গুলো ছাড়িয়ে দিতে হবে। এরপর চিংড়ি মাছগুলিকে হালকা নুন এবং হলুদ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে একটি পাত্রে। বেশ কিছুক্ষণ সেগুলি ম্যারিনেট করে নেওয়ার পর একটি কড়াইতে তেল গরম করতে হবে।
তেল গরম হয়ে এলে মাছগুলি হালকা করে ভেজে নিতে হবে। এরপর ওই তেলে দিয়ে দিতে হবে পেঁয়াজকুচি। পেঁয়াজের রং হালকা বাদামি হয়ে এলেই দিয়ে দিতে হবে আদা বাটা এবং রসুন বাটা। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে যখন আদা বাটা এবং রসুন বাটার কাঁচা গন্ধ চলে যাবে তখন দিয়ে দিতে হবে টমেটো কুচি, জিরে বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন এবং চিনি।
(আরও পড়ুন: বিধান নগরে ফিরুক বাঙালি সংস্কৃতি, এমন দাবি নিয়ে মাছ-ভাত উৎসব বাংলা পক্ষের)
সমস্ত উপকরণ গুলি ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে দিতে হবে পরিমাণ মতো জল। মসলাগুলি কষে গেলে দিয়ে দিতে হবে কাজুবাদাম বাটা, পোস্ত বাটা এবং সরষে বাটা। আরো কিছুক্ষণ মসলাগুলি ভালো করে কষিয়ে নিন। সবশেষে দিয়ে দিন ফেটিয়ে রাখা টক দই। এরপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিন। গ্রেভি ফুটে এলে দিয়ে দিন ভেজে রাখা চিংড়ি মাছের টুকরো গুলি। আরো পাঁচ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন গরম গরম চিংড়ি মাছের ভুনা।