সরস্বতী পুজো মানেই সকালে গায়ে হলুদ মেখে স্নান আর হলুদ শাড়ি-পাঞ্জাবী। এই হলুদ রঙেই সেজে ওঠে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে প্রতিটি বাঙালির ঘর। সেই চিরাচরিত সংস্কৃতিকে মাথায় রেখেই উত্তরের আড্ডায় হলুদ ট্যাক্সিতে এল সরস্বতী প্রতিমা। প্রতিমার মুখ সেজে উঠল যামিনী রায়ের চিত্রশৈলীর আদলে।
বাংলার লোকজ পুতুল, শিশু, গ্রামবাংলার প্রতিরূপ - এসবই ছিল মুখ্যত যামিনী রায়ের শিল্পশৈলীর বিষয়। বর্ণাঢ্য রঙ আর ছন্দময় রেখার মধ্যে দিয়েই তিনি নিজস্ব এক শৈলী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখর চিত্র, ধর্মাশ্রয়ী কাহিনী যেমন- রামায়ণ, শ্রীচৈতন্য, রাধা-কৃষ্ণ ও যীশু। এছাড়া বেলিয়াতোড় গ্রামের আশেপাশের গ্রামগুলির সাঁওতালদের জীবনের চিত্ররূপ ‘সাঁওতাল জননী ও শিশু’,‘মাদলবাদনরত সাঁওতাল’, ‘নৃত্যরত সাঁওতাল’ ইত্যাদি ।
উত্তর কলকাতা মানেই নস্টালজিয়া। সেই নস্টালজিয়ার হাত ধরেই স্মৃতি বিজড়িত কলকাতাকে সংরক্ষণ করে রাখতে চাইল শ্যামবাজারের দেশবন্ধু পার্ক।
আরও পড়ুন - অনুরাগীর ঠোঁটে চুমু খেয়ে বিতর্কে উদিত! 'বন্ধু আমার খিলাড়ি…' গায়ককে বাহবা অভিজিতের
হলুদ ট্যাক্সি ও যামিনী রায় - কলকাতার বাঙালি জীবনের এই দুই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গকে সামনে রেখেই এ বছরের সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছে শ্যামবাজার। বর্তমানে ক্যাব সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কলকাতার ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট্যাক্সি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। সেই হারানোপ্রায় হলুদ ট্যাক্সিকে এভাবেই সৃজনশীল উদযাপনের মধ্যে দিয়ে অর্থবহ করে তুলল উত্তর কলকাতাবাসী। অঞ্জলি দিল ৫০ জন বিশেষভাবে সক্ষম শিশুও।
উত্তরের আড্ডার বিশেষ উদ্যোগে আর্ট কলেজের প্রায় ৩০ জন ছাত্রছাত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি আঁকলেন। খোলা আকাশের নীচে বিদ্যার দেবীকে চিত্রবিদ্যার মধ্যে দিয়েই শ্রদ্ধাঞ্জলি দিলেন তারা।
আরও পড়ুন - ISL - খারাপ রেফারিংয়ের শিকার ইস্টবেঙ্গল! কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে নালিশ লালহলুদ কর্তাদের
১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডঃ মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানেই অভিনব রূপ পেল এই বিশেষ থিমের পুজো। বাসন্তী রঙের সঙ্গে হলুদ ট্যাক্সি এভাবেই প্রতীকী হয়ে থাকলো এ বছরের বসন্ত পঞ্চমীর।