গরমের মরশুম মানেই নানা ধরনের ফলের সমাহার! গরমের দিনে, কাসুন্দি, লঙ্কা দিয়ে জাম মেখে খাওয়ার আনন্দ বহু বাঙালি বাড়িতেই আজও চোখে পড়ে! তবে শুধু মুখের স্বাদের জন্যই নয়, জামের গুরুত্ব রয়েছে পুষ্টির দিক থেকেও। জাম খেলে একাধিক রোগ সহজেই নিরাময় হয়ে যেতে পারে। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে জামের গুরুত্ব অপরিসীম। ডায়েটেশিয়ান শ্বেতা শাহ, জামের উপকারিতা নিয়ে বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরেছেন। ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার সহ একাধিক রোগের সমস্যা কেটে যেতে পারে এই জাম ফলে। দেখে নেওয়া যাক ফলের উপকারিতাগুলি।
জামের উপকারিতা
ডায়েটেশিয়ান শ্বেতা শাহ বলছেন, 'জামে রয়েছে ভিটামিন সি ও আয়রন। যে ফলে আয়রন থাকে, সেই ফল রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে, আর হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনকে সর্বত্র পৌঁছে দেয়।' তিনি বলছেন, ত্বকে যাঁদের অবাঞ্ছিত ছোপ রয়েছে বা ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্যও জামের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও ব্লাড সুগারের ক্ষেত্রে জাম খাওয়ার যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে।
রক্ত পরিশুদ্ধ করতে জাম
হিমোগ্লোবিন উন্নততর করতে জামের জুড়ি মেলা ভার! বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও রক্ত পরিশুদ্ধ করতে জামের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। চোখ ও ত্বক ভাল রাখতে জামের গুরুত্ব রয়েছে অপরিসীম।
হার্ট ঠিক রাখতে প্রয়োজন
শ্বেতা শাহ বলছেন, 'জামে রয়েছে পটাশিয়াম।' আর তার ফলে উচ্চ ব্লাড প্রেশার ও হার্টের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এই ফল। এছাড়াও জাম খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায়, বলে জানাচ্ছেন ডায়েটেশিয়ান।
দাঁত ভাল রাখে!
জাম দাঁত ভাল রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। ফলে এগুলি দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। অনেকেই দুধের সঙ্গে জামের গুঁড়ো মিশিয়ে তা সেবন করেন।
সংক্রামক ব্যধী কমায়
জামে রয়েছে ম্যালেরিয়া বিরোধী ও সংক্রামক বিরোধী নানান পুষ্টিগুণ। এছাড়াও জাম অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। অক্সালিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড গ্যালিক অ্যাসিড সহ একাধিক গুণাগুণ থাকায় এটি সংক্রামক ব্যধী দূর করে।
যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, পেট ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে জাম খুবই উপকারী। হজমের সমস্যা কাটাতেও জামের উপকারিতা অপরিসীম। ডায়টারি ফাইবারের অন্যতম কার্যকরী উৎস হল জাম। এটি নিয়মিত সেবনে হজম শক্তি বেড়ে যায়। এছাড়াও লিভার ভাল রাখতে জামের জুড়ি মেলা ভার।
টাইপ টু ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
ডায়াবেটিস টুয়ের উপসর্গ দেখা দিলেই জাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব তেষ্টা ও বারবার প্রস্রাব পাওয়ার প্রবণতা থাকলে, জাম উপকারী ফল। জাম ব্লাড সুগার লেভেলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।