ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম পা রাখা জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে এখনের জাহ্নবীর মধ্যে অনেকখানি তফাৎ। আগের থেকে এখন তিনি যথেষ্ট পরিণত হয়েছে, তা অভিনেত্রীর শেষ কয়েটি সাক্ষাৎকার থেকেই বেশ স্পষ্ট। এখন যে কোনও বিষয় নিয়ে তিনি খোলাখুলি ভাবে বুদ্ধিদীপ্ত জবাব দেন। সম্প্রতি অভিনেত্রী তাঁর মাসিক নিয়ে কথা বলেছেন। এই সময় মহিলারা যে ব্যথার মধ্য দিয়ে যান সে সম্পর্কেও তিনি কথা বলেছেন। প্রতি মাসে হরমোনের কারণে মুড সুইং তাছাড়াও শারীরিক ব্যথা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও বলেছেন। মাসিক নিয়ে তাঁর কথা বলার সেই ভিডিয়োটি এখন স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই সময় তিনি যা যা অনুভব করেন তা বহু মেয়েরই সমস্যা। সেই নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন নায়িকা।
অভিনেত্রী হাউটারফ্লাইয়ের সঙ্গে আলাপচারিতা চলাকালীন জানান, তাঁর ব্যস্ত শিডিউল। মাসিকের জন্য তো কাজ বাদ দিলে চলে না। তবে তিনি এও জানান, কাজের মধ্যে থাকলে অদ্ভুত ভাবে তিনি ততটা ব্যথা এতটা অনুভব করেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন আমি যখন শিডিউলে থাকা শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকি তখন আমি ব্যথা অনুভব করি না। কিন্তু যখন আমি মাসিকের দিনগুলো কাজ ছাড়া বাড়িতে আরাম করে কাটাই বা কোনও ইভেন্ট থাকে কিংবা হঠাৎ করে বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং পড়ে যায় তখন প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করি। মনে হয় যেন পক্ষাঘাত হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ‘রাস্তায় জন্মালে সেখানেই শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে?’, ১৫০ কোটি টাকার বাড়ি কেনা নিয়ে বিতর্ক, জবাব ধনুশের
গতবার, আমি কোমরে ব্যথা পেয়েছিলাম, তারপর হঠাৎ পেশীতে ব্যথা শুরু হয়। আগে আমি ভেবেছিলাম যে কোনও কারণে হয়তো আমার পেশীতে টান ধরেছে, বা কোনও ধরণের আঘাত থেকে হচ্ছে। কিন্তু এটা হচ্ছিল মাসিকের জন্য। একটা পর্যায় ছিল যখন আমার নাক দিয়ে রক্ত পড়ত। পুরুষরা কখনই এই ধরনের ব্যথা এবং এই ধরনের হরমোন পরিবর্তনের সঙ্গে মোকাবিলা করে কাজ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: চারিদিকে যখন সম্পর্ক ভাঙার শব্দ, তখন ভালোবেসে পাশে থাকার সুর নিয়ে হাজির 'বকুল ফুলের মালা'
জাহ্নবী মাসিকের সময় মুড সুইং নিয়েও নানা কথা ভাগ করে নেন। তিনি জানান, এই সময় মানসিক অশান্তি এতটাই হয় যে তিনি নিজের ভালোবাসার মানুষের থেকেও দূরে সরে থাকেন। তাঁর সঙ্গে খুব একটা কথাও বলেন না। এই মুড সুইংয়ের জন্য তিনি অনেক সময় রেগে গিয়ে ব্রেকাপও করে থাকন। তবে পরে অবশ্য নিজের কাজের জন্য তিনি নিজেই দুঃখ পান, তাঁর সঙ্গে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'প্রথম দুই বা তিন মাস ও অবাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপর আমার সমস্যাটা বুঝতে পারে, জানে যে কেন আমি এরকম করছি। আর সে এটাও ভালো করে জানে দুই দিন পর আমি আবার কাঁদতে কাঁদতে তাঁর কাছেই ফিরে যাব। কিন্তু আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না কেন আমার মাথা তখন ওই ভাবে কাজ করে। এটা যে খুব বাড়াবাড়ি সেটা আমি পরে বুঝতে পারি।'