বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণ, মামারবাড়িতে, বলা ভালো মামার কারাগারে জন্ম নিয়েছিল বাসুদেব এবং দেবকীর অষ্টম সন্তান হিসেবে। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি এবং রোহিণী নক্ষত্রে তাঁর জন্ম হয়েছিল। দেশ জুড়ে এই দিনটাতে প্রতি বছর ধুমধাম করে পালিত হয় কৃষ্ণের ছেলেবেলা, গোপালের জন্মদিন। এই তিথি উপলক্ষ্যে নবদ্বীপ, নদীয়া, মথুরা, বৃন্দাবনে সাড়ম্বরে পালিত হয় উৎসব। একমাস আগে থেকে চলে তোড়জোড়।
মনে করা হয় এদিন ভক্তিভরে পুজো করলে গোপাল সন্তুষ্ট হন। তাঁকে বাড়ির ছোট সন্তানের মতো আদর আপ্যায়ন করতে হয়। অনেকেই তাঁকে বাড়ির ছোট সদস্য হিসেবে মনে করেন। তাঁকে এদিন যে ভোগ দেওয়া হয় তাতে ১৬ ধরনের জলখাবার, ২০ ধরনের মিষ্টি এবং ২০ ধরনের ফল দেওয়া হয়।
ননী মাখন: গোপালের সব থেকে পছন্দের খাবার হল ননী, মাখন এবং মিছরি।
তালের বড়া এবং ক্ষীর: ভাদ্র মাসে তাল পাওয়া যায়, তাই এই সময় তালের নানান সুস্বাদু জিনিস তৈরি করে পরিবেশন করা হয় গোপালকে।
মালপোয়া: সুজি ময়দা দিয়ে মালপোয়া বানিয়ে সেটা অবশ্যই দেবেন গোপালকে। এই ভাজা মিষ্টি কিন্তু তাঁর ভীষণ পছন্দের।
মোহনভোগ: মোহনভোগ বাড়িতে বানিয়ে অথবা দোকান থেকে কিনে দিতে পারেন।
নারকেল নাড়ু: এটাও ভোগের তালিকায় অবশ্যই রাখবেন।
বাসন্তী পোলাও: ভোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে বাসন্তী পোলাও। এটাও তালিকায় রাখা চাই।
ক্ষীর: ক্ষীর বা পায়েস বাড়ির ছোট গোপালের জন্য রাখতে ভুলবেন না যেন।
লুচি সুজি: জন্মাষ্টমীর অন্যতম ভোগ হচ্ছে লুচি সুজি। গোপাল এই খাবার খেতে ভীষণই ভালোবাসে।