ডালে ফোড়ন দেওয়ার জন্য হোক বা পাঁচ ফোড়নের ব্যবহার করা, জিরের স্বাদ সমস্ত পদকেই অতুলনীয় করে তোলে। শুধুই কী স্বাদ বৃদ্ধি! নানান শারীরিক সমস্যা দূর করতেও জিরের জুড়ি মেলে না।
ওজন কমাতেও জিরে সাহায্য করতে পারে। বর্তমানে প্রত্যেক তৃতীয় ব্যক্তির মাথায় ভাঁজ ফেলেছে ওজন বৃদ্ধি। সেই সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন জিরে জল পান করে।
আয়ুর্বেদে জিরেকে স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাচনতন্ত্রকে মজবুত করে শরীর থেকে টক্সিন অপসারিত করে জিরে। আবার স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও এটি উপযোগী। জিরের মধ্যে ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক ও ফসফরাস অধিক পরিমাণে থাকে। এটি গ্রহণ করলে শরীরে ফ্যাটের শোষণ কম হয়। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবে ওজম কম করতে পারবেন।
জিরে দেওয়া জল তৈরির পদ্ধতি:
১. এক গ্লাস জলে এক বড় চামচ জিরে মিশিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে এই জল ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করুন। বেঁচে যাওয়া জিরে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। তবে এই জল পান করার পর ১ ঘণ্টা পর্যন্ত কিছু খাবেন না।
২. জিরের জলে লেবু ও সামান্য দারচিনিও মেশাতে পারেন। দারচিনিতে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি গুণ বর্তমান থাকে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ওজন কমাতেও উপযোগী ভূমিকা পালন করে।
কখন ও কী ভাবে খাবেন জিরে:
এটি একটি স্বাস্থ্যকর ডিটক্স ড্রিঙ্ক। এই জল পান করলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরে থাকে। দ্রুত ওজন কম করতে চাইলে দিনে ৩-৪ বার এই জল পান করুন। সকালে এই জিরে জল পান করুন ডিটক্সিফাইং ড্রিঙ্ক হিসেবে। মধ্যাহ্নভোজের আগে পান করুন পেট ভরতি রাখার জন্য। আবার নৈশাহারের পর পান করে পাচনতন্ত্র মজবুত রাখতে পারেন।
জিরের উপকারিতা:
বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা- আয়রন ও মিনারেলের উল্লেখযোগ্য উৎস জিরে। শক্তি বৃদ্ধিতে এটি সাহায্য করে। এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত হয়।
শরীর করে পরিষ্কার- জিরের জলে উপস্থিত ফাইবার শরীর থেকে টক্সিন অপসারিত করে। এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। ব্যক্তি সতেজ থাকে এবং ওজনও কমে।
রক্তচাপ রাখে নিয়ন্ত্রণে- বৃদ্ধিপ্রাপ্ত রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জিরে দেওয়া জল পান করলে উপকার পেতে পারেন। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, জিরের মধ্যে অ্যান্টিহাইপারটেন্সিভ গুণ উপস্থিত। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমানো যায়।
Disclaimer- এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্যের যথার্থতা ও বাস্তবিকতা সুনিশ্চিত করার যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এর নৈতিক দায়িত্ব হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার নয়। তাই পাঠকদের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে, যে কোনও উপায় অবলম্বনের পূর্বে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পিছ পা হবেন না। আপনাদের তথ্য সমৃদ্ধ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।