সামনেই দুর্গাপুজো। বাঙালি একটু ভালো মন্দ খাবে! কিন্তু খাবে কি দামের ঝাঁঝেই তো মরে যাওয়ার অবস্থা! রান্নায় বেশ প্রয়োজনীয় জিরের দাম এবার একেবারে হু হু করে বেড়ে গেল। কেজি প্রতি জিরের দাম দাঁড়িয়েছে ৯০০ টাকা। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। ২০২০ সালে যে জিরের দাম ছিল ২০০ টাকা। ২০২৩ সালে সেই জিরের দাম দাঁড়িয়েছে ৯০০ টাকা।
তবে শুধু গোটা জিরেই নয়, জিরে গুড়োর দামও একেবারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গোটা জিরের বদলে কেউ যদি ভাবেন যে গুড়ো জিরে ব্য়বহার করবেন সেটাও হবে না। কারণ গুড়ো জিরের দামও কম কিছু নয়।
১০০ টাকা বা ২০০ টাকা নয়। জিরের দাম একলাফে বেড়ে হয়েছে ৯০০ টাকা। মানে তিন বছরে জিরে দাম বেড়ে গিয়েছে ৭০০ টাকা। তবে তারপরেও ব্যবসায়ীরা কোনও আশার কথা শোনাতে পারছেন না। কারণ মনে করা হচ্ছে জিরের দাম আরও বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে জিরে দাম এবার ১০০০ নাকি ১৫০০ টাকা কেজি হয় সেটাই দেখার।
কিন্তু এবার প্রশ্ন জিরের দাম বাড়ল কেন?
আসলে জিরের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল পর্যাপ্ত পরিমাণ জিরে না থাকা। জিরের ফলনও এবার ভালো হয়নি। গুজরাট আর রাজস্থানেই মূলত জিরের ফলন হয়। বাংলায় সামান্য জিরে হয়। সেটা দিয়ে এত চাহিদা পূরণ করা যায় না। কিন্তু এবার আবহাওয়াজনিত কারণে জিরের ফলনে মার খেয়েছিল। যার জেরে এবার জিরের দাম হু হু করে বাড়তে পারে।
তবে এই দাম বৃদ্ধিতে হাই জাম্প বললেও মনে হয় খুব কম বলা হয়। কারণ যে রকেট গতিতে জিরের দাম বাড়ছে তাতে বড় আশঙ্কার কথা সামনে আসছে। এদিকে নানা সময় নানা টোটকার কথা বলা হয়। যেখানে গোটা জিরে ভিজিয়ে জল খাওয়ার কথা বলা হয়। ওজন কমাতে নাকি জিরার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু যে জিরার দাম ৯০০ টাকা কেজি সেই জিরা খেয়ে ওজন কমানো কতজনের পক্ষে সম্ভব সেটাও প্রশ্নের। অনেকেই এখন ভাবছেন আগে জিরের দাম কমুক তারপর এনিয়ে ভাবা যাবে। আপাতত জিরে বাদ দিয়ে জিমে ছুটছেন আম জনতা। ওজন কমাতে।
সেই সঙ্গেই একাধিক রান্নাঘরে জিরে আনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এত দাম দিয়ে জিরে খাওয়া কি সম্ভব?