৫১ সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম সতীপীঠ হল কামাখ্যা। অসমের গুয়াহাটির নীলাচল পাহাড়ের কোলে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কামাখ্যা মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনি। প্রতিবছরের মতো কালীপুজো উপলক্ষে সমস্ত নিয়ম মেনে এখানে হয় পুজো। জানুন কামাখ্যা মন্দিরের পুজো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য।
কামাখ্যা মন্দিরকে বলা হয় কলি যুগের স্বর্গ। ১৬৬৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ এই মূল মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাকিটা নির্মাণ করেছিলেন অহম রাজারা। কথিত রয়েছে, কামাখ্যায় মা সতীর যোনি পড়েছিল, তাই এখানে মা দশমহাবিদ্যা রূপে পূজিত হন।
(আরও পড়ুন: দীপাবলি উপলক্ষে পাঠান শুভেচ্ছার মেসেজ, মন ভালো করে দিন প্রিয়জনের)
সারা ভারতবর্ষ তো বটে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও এই মন্দিরে মাকে দর্শন করতে আসেন অগণিত ভক্ত। কালীপুজোর দিন মাকে মহাস্নান করিয়ে ষোড়শপচারে ভোগ নিবেদন করা হয়। এরপর শুরু হয় মহাবলি দান। মাছ ভোগ এবং বলিদানের মহাপ্রসাদ নিবেদন করা হয় মাকে।
কালীপুজো উপলক্ষে সমস্ত দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। এই দিন মাকে স্পর্শ করে পুণ্য লাভ অর্জন করার সুযোগ পান দর্শনার্থীরা। কালীপুজো উপলক্ষে মাকে সাজানো হয় রাজবেশে। তবে শুধু মা সতীর মন্দির নয়, কামাখ্যায় রয়েছে আরও এক দক্ষিণা কালীর মন্দির। সেখানেও কার্তিক অমাবস্যায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় প্রতিবছর।
(আরও পড়ুন: বাড়ি বসেই দেখুন দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর পুজো লাইভ! কোথায়, কখন? রইল লিঙ্ক)
কামাখ্যা মন্দিরে কালী পুজো উপলক্ষে সারারাত ধরে চলে মহাযজ্ঞ। বলা হয়, এই মন্দিরেই নাকি বশিষ্ঠ মুনি সারা রাত জেগে যজ্ঞ করেছিলেন। যজ্ঞ ছাড়াও প্রতিদিনের মতো এই দিনেও সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় নিত্য পুজো। মন্দির চত্বরে সকাল থেকেই ভিড় জমান ভক্তরা। মায়ের এত কাছাকাছি আসার সুযোগ শুধুমাত্র হয় কালীপুজোয়, তাই এই সুযোগ ছাড়তে চান না কেউই।