Santipur Bamakali: মা কালী (Kali Puja 2024) বলতেই আমরা বুঝি করালদর্শনা ভয়ঙ্কর এক রূপ। কিন্তু আদতে মা তো আমাদের মা-ই। ভীষণ উগ্ররূপিনী হলেও তিনি পূজিত হন ভালোবাসার সঙ্গে। শান্তিপুরে মাকে পুজো করা হয় বামাকালী (Santipur Bamakali) রূপে। আর সেখানেই মাকে নিয়ে রীতিমতো নাচগান হয়। অর্থাৎ ভক্তদের সঙ্গে নাচেন মা-ও। হঠাৎ মায়ের নাচের কথা শুনে অবাক হতে পারেন যে কেউ। কিন্তু এ মোটেই গল্পকথা নয়। শান্তিপুরে (Santipur Bamakali 2024) প্রতি বছরই এই দৃশ্য দেখা যায়। আর নাচ দেখতে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ মানুষ।
আরও পড়ুন - দমদম রোড আটকে আর পুজো নয়, সিদ্ধান্ত নিল ১ কমিটি! বাকি দুইয়ের কী মত
কীভাবে শুরু হয় নাচ?
পুজোর পর অঞ্জলি হয়ে গেলে মায়ের মূর্তিকে মণ্ডপের বাইরে নিয়ে আসা হয়। বিসর্জনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এরপর ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যেতে যেতে নাচের আয়োজন। মায়ের মূর্তি একটি বাঁশের মাচায় করে ঘাড়ে বয়ে নিয়ে চলেন ভক্তরা। তাদের পিছন পিছন আরো অগণিত ভক্তের ঢল নামে। কাঁধে বাঁশ থাকা অবস্থাতেই লাফিয়ে লাফিয়ে নাচের ভঙ্গি করেন ভক্তরা। ফলে নেচে ওঠেন মা কালীও। দূর থেকে ক্যামেরাবন্দি এই দৃশ্য দেখতে অভূতপূর্ব। প্রতি বছর শুধু এই দৃশ্য দেখতে শান্তিপুরে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।
আরও পড়ুন - ভয়ঙ্করের মধ্যেও ভয়ঙ্কর! মা কালীর এই বীভৎস রূপগুলির সঙ্গে পরিচিত?
অঞ্জলির পরই বিসর্জনের রীতি
শান্তিপুরের বামাকালীর পুজোর পরদিনই এই নাচ হয়। অর্থাৎ বিসর্জনের আয়োজন পুজো শেষ হলেই শুরু হয়ে যায়। অন্য সব স্থানেই পুজো ৪-৫ দিন ধরে চলে। কিন্তু শান্তিপুরের ঐতিহ্য পুজোর পরদিনই বিসর্জন দেওয়া। তাই আজও সেই রীতি মেনে বিসর্জন হয় মায়ের। আর তার আগেই এই নাচের মনোহর দৃশ্য দেখা যায়। মা কালীর নাচ মানেই যেন তাণ্ডব। এমন এক ধারণা কমবেশি অনেকেই জানেন। কিন্তু বামাকালীর নাচ দেখলে মনে হবে, তিনি আমাদের ঘরের কন্যা। নাচের বিভঙ্গিতে হর্ষের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ভক্তদের হাতে থাকে মশাল। সেই মশালের আলোই আলো জোগায় মায়ের বিসর্জনের পথে।
নাচ ঘিরে উন্মাদনা
প্রসঙ্গত, বামাকালীর নাচ ঘিরে উন্মাদনা এতটাই তুঙ্গে থাকে যে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এই হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। তবে তেমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ব্যবস্থাও করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে।