আজকাল, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন এবং ক্ষয়প্রাপ্ত খাদ্যাভ্যাস মানুষের শরীরকে কেবল রোগের আবাসস্থলই করেনি, এর প্রভাব তাদের দৈনন্দিন জীবনেও দৃশ্যমান। আজকাল তরুণ-তরুণীদের শরীর যতটা সচল থাকার কথা, ততটা নেই। এর গভীর প্রভাব তাদের স্ট্যামিনার ওপরও দৃশ্যমান। অনেকেই আছেন যারা সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় হাঁপাতে শুরু করেন বা যেকোনো কাজ করতে গিয়ে খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন, এগুলো সবই দুর্বল স্ট্যামিনার লক্ষণ। এই সমস্ত সমস্যা যদি আপনারও হয়ে থাকে, তাহলে আজই আপনার ডায়েটে কিছু বিশেষ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী জিনিস আপনার শরীরকে শক্তিমান রাখতে সাহায্য করতে পারে।
চিনাবাদাম মাখন দিয়ে স্ট্যামিনা বাড়ান
দুর্বল স্ট্যামিনা শক্তিশালী করতে পিনাট বাটার ব্যবহার করা খুবই উপকারী হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, চিনাবাদাম মাখনে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা 3 এবং চর্বি রয়েছে। এটি নিয়মিত সেবন করলে শরীরের শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং পেশীও মজবুত হয়। এই কারণেই জিমে যাওয়া ব্যক্তিদের পিনাট বাটার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি এটি সাধারণত দুধের সাথে বা রুটি বা রুটিতে লাগিয়ে খেতে পারেন।
স্ট্যামিনা বাড়াতেও বাদাম উপকারী
বাদাম খাওয়া শরীরের স্ট্যামিনাকেও শক্তিশালী করতে পারে। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ই, ওমেগা ৩, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবার। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো অনেক পুষ্টি উপাদানও পাওয়া যায়। নিয়মিত বাদাম খাওয়া হাড় মজবুত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্তচাপ ঠিক রাখে এবং শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় বাদাম ভিজিয়ে বা ভাজতে পারেন।
আপনার খাদ্যতালিকায় কলা অন্তর্ভুক্ত করুন
কলা শরীরের স্ট্যামিনা মজবুত করতেও কাজ করে। এটি প্রাকৃতিক চিনি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এছাড়াও কলায় ভিটামিন এ এবং বি এর সাথে নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ফলিক এসিড রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। সকালের নাস্তায় নিয়মিত কলা খেলে শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি যোগায়, যা আপনার স্ট্যামিনাও বাড়ায়।
সবুজ শাক সবজি উপকারী
সবুজ শাক-সবজি শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। এমনকি এটি শরীরের স্ট্যামিনা বাড়াতেও কাজ করে। সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এগুলো খেলে শরীর থেকে রক্তের ঘাটতি দূর হয়, মাংসপেশি ও হাড় মজবুত হয় এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়।
টক ফল খাওয়া
কমলা, লেবু, আমলা ইত্যাদি টক জাতীয় ফল খেলেও শরীরের স্ট্যামিনা মজবুত হয়। এই ফলগুলি শুধুমাত্র ভিটামিন সি-এর একটি ভাল উৎস নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, থায়ামিন এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছে। এই ফল খাওয়া শরীরের স্ট্যামিনা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উভয়ই শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।