नई दिल्ली : শরীরের পাশাপাশি হার্টকে সুস্থ রাখতে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা খুবই জরুরি। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল বাড়লে। তাই ধমনীতে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। যার কারণে হৃৎপিণ্ড সঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে পারে না এবং পুরো শরীরে পৌঁছাতেও দেরি হয়। ফলে সময়মতো রক্তের পাশাপাশি অক্সিজেনের পরিমাণ শরীর পায় না। যার কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে সৃষ্ট সমস্যা এড়াতে চিকিৎসকরা প্রথমে লিপিড প্রোফাইল টেস্ট নামে একটি কোলেস্টেরল পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। আপনি যদি এই পরীক্ষাটি করতে যাচ্ছেন তবে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ ভুলভাবে অনুমান করা না হয় এবং সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
কোলেস্টেরল পরীক্ষা বা লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করার সময় সতর্কতা
যখনই আপনি কোলেস্টেরল পরীক্ষা করাতে যান, মনে রাখবেন যে আপনি 10-12 ঘন্টা আগে কিছু খাননি। শুধু পানি পান করেন। এমনকি গ্রিন টি-এর মতো স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করলেও কোলেস্টেরল পরীক্ষায় ভুল ফলাফল পাওয়া যায়। এটি সঠিকভাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করা সহজ করে তোলে।
অ্যালকোহল সেবন করবেন না
মনে রাখবেন যে আপনার কোলেস্টেরল পরীক্ষার প্রায় 48 ঘন্টা আগে অ্যালকোহল সেবন করা উচিত নয়। অ্যালকোহলের পরিমাণ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াবে।
তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন
যখনই আপনি একটি লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা বা কোলেস্টেরল স্তর পরীক্ষা করাতে যাচ্ছেন, প্রায় 48 ঘন্টা আগে চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। চর্বিযুক্ত এবং তৈলাক্ত খাবারগুলিও আপনার লিপিড পরীক্ষার সংখ্যাকে বিকৃত করতে পারে।
হাইড্রেটেড থাকা জরুরী
যখনই আপনি কোলেস্টেরল পরীক্ষা করতে যান। প্রচুর পানি পান করতে থাকুন। এটি করলে শুধু কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হবে না এবং ভুল সংখ্যাও দেখা দেবে।
চাপ থেকে দূরে থাকুন
আপনি যদি কোলেস্টেরল পরীক্ষা করতে যাচ্ছেন, আপনার মনকে শিথিল করুন এবং খুব চাপযুক্ত কাজ থেকে দূরে থাকুন। আপনি যদি রাগ, অতিরিক্ত কাজের মতো কারণে ক্লান্ত বোধ করেন বা খুব চাপ অনুভব করেন তবে প্রথমে আপনার মনকে শিথিল করুন। তারপর পরবর্তী 48 ঘন্টার মধ্যে কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান। কারণ মানসিক চাপের কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়।