শীতের মরসুমে বেশির ভাগ বাড়িতেই ঠাণ্ডা এড়াতে মানুষ শুকনো ফল, আঠা, তিল ইত্যাদির লাড্ডু তৈরি করে আগাম তৈরি করে রাখে। এসব লাড্ডু শুধু খেতেই খুব সুস্বাদু নয়, শরীরের তাপ ধরে রেখে স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকার করে। তবে অনেক সময় লাড্ডু বানাতে গিয়ে কিছু ছোটখাটো ভুল শুধু লাড্ডুর স্বাদই নয়, এর গঠনও নষ্ট করে দেয়। যার কারণে লাড্ডু খাওয়ার সময় শক্ত পাথরের মতো দেখা যায়। আপনার বাড়িতেও যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে পরের বার লাড্ডু তৈরি করার সময় অবশ্যই এই সহজ রান্নার টিপস অনুসরণ করুন। যাতে আপনার লাড্ডুও হয়ে উঠবে নিখুঁত।
লাড্ডু নরম করতে এই টিপসটি অনুসরণ করুন
অনুপাতের যত্ন নিন
লাড্ডু বানানোর সময় প্রথমেই মাথায় রাখুন এতে যোগ করা সবকিছুর সঠিক অনুপাত। ময়দায় ঘি কম থাকায় লাড্ডু শক্ত হয়ে যায়। এমন অবস্থায় লাড্ডু তৈরির সময় ঘি পরিমাণের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। লাড্ডুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘি যোগ করলে সেগুলো নরম হয়ে যায়।
লাড্ডুর মিশ্রণটা ভালো করে ভাজতে হবে।
লাড্ডুর বেসন বা ময়দা ভালোভাবে না ভাজা হলে লাড্ডুর স্বাদ কাঁচা হয়ে যায় এবং সেগুলোও শক্ত হয়ে যায়। বিশেষ খেয়াল রাখবেন, লাড্ডুর ময়দা যেন সবসময় কম আঁচে ভাজা হয়, যার কারণে ভেতর থেকে রান্না হয়ে যায়। কম আঁচে ময়দা ভাজুন যতক্ষণ না এর রঙ হালকা বাদামী হয়ে যায় এবং একটি মনোরম সুগন্ধ দেওয়া শুরু করে।
মিষ্টি যোগ করা
লাড্ডুতে মিষ্টতা বজায় রাখতে এতে চিনি বা গুড়ের মিশ্রণ দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন। আপনি যদি লাড্ডুতে গুঁড়ো চিনি ব্যবহার করেন, তাহলে লাড্ডুর ঠান্ডা মিশ্রণে মিশিয়ে নিন। অন্যদিকে যদি গুড় ব্যবহার করা হয় তবে ঘিতে হালকাভাবে গলিয়ে মিশিয়ে দিন। চিনির সিরাপ যোগ করার সময়, মনে রাখবেন যে এক স্ট্রিং সিরাপ লাড্ডুকে নরম রাখে।